খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো.
মাছুদ কামালের পদত্যাগের একদফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশন শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে এই অনশনের ১৮ ঘণ্টা অতিক্রান্ত হয়েছে।সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল ১১টা পর্যন্ত ২৯ জন শিক্ষার্থী অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন। এর আগে সোমবার বিকাল ৪টায় পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৩২ জন শিক্ষার্থী অনশনে বসেন। তবে এরমধ্যে দুজন শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এবং একজন মায়ের অসুস্থতার কারণে বাড়ি ফিরে গেছেন।অনশনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা বর্তমানে শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছেন, তবে তারা জানিয়েছেন— একদফা দাবির পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাবেন। শিক্ষার্থীদের মতে, তারা রাজনীতিমুক্ত একটি ক্যাম্পাস এবং ভিসির পদত্যাগ নিশ্চিত দেখতে চান।এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আন্দোলন থেকে সরে এসে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ছাত্র কল্যাণ দপ্তরের পরিচালক ড. মো. আব্দুল্লাহ ইলিয়াস অনশনস্থলে এসে শিক্ষার্থীদের খোঁজখবর নেন এবং আন্দোলন প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান।এর আগে সোমবার দুপুর আড়াইটায় ছাত্র কল্যাণ পরিচালক, সহকারী পরিচালক, ডেপুটি পরিচালকসহ অনেক শিক্ষক অনশনস্থলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করতে উপস্থিত হন। কিন্তু টানা দুই ঘণ্টার চেষ্টাতেও শিক্ষার্থীরা অনড় অবস্থান থেকে সরেননি।আন্দোলনের পটভূমিউল্লেখ্য, ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি "রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাসের" দাবিতে শিক্ষার্থীদের আয়োজিত কর্মসূচিতে হামলার ঘটনা ঘটে, যেখানে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। সেই ঘটনার পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, হামলার ঘটনায় প্রশাসনের উদাসীনতা এবং পক্ষপাতমূলক ভূমিকা ছিল।বর্তমানে শিক্ষার্থীরা অন্তর্বর্তী সরকারের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন এবং দ্রুত দাবি মেনে নেওয়ার আশায় অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন।
মন্তব্য (০)