ব্রেকিং নিউজ :

দৃষ্টিকোণ নিউজ একটি নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ অনলাইন সংবাদ মাধ্যম, যা সর্বশেষ সংবাদ ও বিশ্লেষণ প্রকাশ করে।

আমরা দেশের ও বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ খবর, রাজনীতি, অর্থনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর নির্ভরযোগ্য প্রতিবেদন প্রকাশ করি।

ফুটবল

আন্তর্জাতিক ফুটবলে শীর্ষ ১০ গোলদাতা: ইতিহাস গড়েছেন যারা

আন্তর্জাতিক ফুটবলে শীর্ষ ১০ গোলদাতা: ইতিহাস গড়েছেন যারা Image সংগৃহীত | ছবি: সংগৃহীত
ইমেইল :
৫৭

জাতীয় দলের জার্সি গায়ে মাঠে নামা যে কোনো ফুটবলারের জন্য সম্মানের বিষয়। আর সেই দলের হয়ে গোল করাটা যেন এক অন্যরকম স্বপ্নপূরণ। তবে এমন কিছু কিংবদন্তি ফুটবলার রয়েছেন, যাঁরা শুধু গোলই করেননি, করেছেন রেকর্ড পরিমাণ গোল। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বোচ্চ গোলদাতাদের শীর্ষ ১০ তালিকা, যেখানে আধিপত্য মেসি-রোনালদোর, তবে জায়গা করে নিয়েছেন কিছু চমকপ্রদ নামও।১. ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো (পর্তুগাল) – ১৩৮ গোলআন্তর্জাতিক ফুটবলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবে নিজের নামটি সুস্পষ্টভাবে প্রতিষ্ঠা করেছেন পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। জাতীয় দলের হয়ে ২২১ ম্যাচে ১৩৮ গোল করে এই জায়গায় তিনি অনেকটাই ধরাছোঁয়ার বাইরে। বয়স ৪০ ছুঁই ছুঁই হলেও এখনো খেলে যাচ্ছেন, এমনকি ২০২৬ বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের ইঙ্গিতও আছে। তাই রোনালদোর গোলসংখ্যা যে আরও বাড়বে, তা বলাই যায়।২. লিওনেল মেসি (আর্জেন্টিনা) – ১১২ গোলবিশ্বকাপজয়ী ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসি, যাঁর খেলা বিশ্বের কোটি ভক্তের হৃদয়ে সঞ্চার করে আবেগের ঢেউ, করেছেন ১৯৩ ম্যাচে ১১২ গোল। শীর্ষস্থানে পৌঁছানোর সম্ভাবনা খুব একটা নেই বলেই মনে করা হচ্ছে, কারণ ম্যাচসংখ্যা এবং সময় দুটোই সীমিত। তবুও জাতীয় দলের হয়ে মেসির অবদান অসামান্য, এবং এই তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা-ও এক বিশাল অর্জন।৩. আলী দাইয়ি (ইরান) – ১০৮ গোলএক সময় আন্তর্জাতিক ফুটবলের গোলের রাজা ছিলেন ইরানের আলী দাইয়ি। ১৯৯৩ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত দেশের হয়ে ১৪৮ ম্যাচে ১০৮ গোল করে শীর্ষে ছিলেন তিনি। পরবর্তীতে ২০২১ সালে সেই রেকর্ড নিজের করে নেন রোনালদো। তবে দাইয়ির এই অবদান ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।৪.

সুনীল ছেত্রী (ভারত) – ৯৫ গোলএকটি চমক বলা চলে! ভারতের সুনীল ছেত্রী আন্তর্জাতিক গোলদাতাদের তালিকায় চতুর্থ স্থানে। ১৫৫ ম্যাচে ৯৫ গোল করা এই তারকা দীর্ঘদিন ধরেই ভারতীয় ফুটবলের মুখ্য প্রতিনিধি। মাঝে অবসর নিয়েও আবার ফিরেছেন মাঠে। তাঁর সামনে এখন নতুন লক্ষ্য—১০০ গোলের মাইলফলক ছোঁয়া।৫. রোমেলু লুকাকু (বেলজিয়াম) ও মোখতার দাহারি (মালয়েশিয়া) – ৮৯ গোলএই স্থানটি ভাগ করে নিয়েছেন দুজন—বেলজিয়ামের রোমেলু লুকাকু ও মালয়েশিয়ার কিংবদন্তি মোখতার দাহারি। লুকাকু করেছেন ১২৪ ম্যাচে ৮৯ গোল দাহারি করেছেন ১৪২ ম্যাচে ৮৯ গোল দাহারি আর জীবিত নেই (মারা যান ১৯৯১ সালে), তবে লুকাকু এখনো সক্রিয়। তাই তাঁর সামনে র‌্যাংকিং আরও উন্নতির সুযোগ রয়েছে।৭. ফেরেঙ্ক পুসকাস (হাঙ্গেরি) – ৮৪ গোলফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা নাম ফেরেঙ্ক পুসকাস, যিনি গোল করেছেন মাত্র ৮৫ ম্যাচে ৮৪টি। তাঁর গোল-টু-ম্যাচ রেশিও ০.৯৯, যা এখনও অতুলনীয়। এই জায়গায় কেবল জাপানের কামামোতো তাঁকে ছুঁতে পেরেছেন। এমন অনন্য গড় নিয়ে পুসকাসের নাম সর্বকালের সেরা স্কোরারদের একজন হিসেবে চিরস্থায়ী।৮. গডফ্রে চিতালু (জাম্বিয়া) ও নেইমার (ব্রাজিল) – ৭৯ গোল জাম্বিয়ার ফুটবল কিংবদন্তি গডফ্রে চিতালু ১১১ ম্যাচে ৭৯ গোল করে তালিকায় আছেন সমানভাবে। ব্রাজিলের হয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা নেইমার করেছেন ১২৮ ম্যাচে ৭৯ গোল। তাঁর সামনে আরও খেলাধুলার সুযোগ থাকায় সংখ্যাটা যে বাড়বে, সেটাই স্বাভাবিক। নেইমার এই তালিকায় কিংবদন্তি পেলেকে টপকে যেভাবে উঠে এসেছেন, তা তাঁর ক্যারিয়ারের বড় মাইলফলক।৯. হুসেইন সাঈদ (ইরাক) – ৭৮ গোলইরাকের সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার, যিনি ১৩৭ ম্যাচে করেছেন ৭৮টি গোল। জাতীয় দলের হয়ে ১৪ বছর (১৯৭৬–১৯৯০) খেলেছেন তিনি। এশিয়ার অন্যতম দক্ষ স্ট্রাইকার হিসেবে তাঁর নাম আজও স্মরণীয়।১০. কুনিশিগে কামামোতো (জাপান) ও বাশার আবদুল্লাহ (কুয়েত) – ৭৫ গোলএই স্থানটিও যৌথভাবে দখল করে রেখেছেন দুই এশিয়ান তারকা— কুনিশিগে কামামোতো, জাপানের গোলযন্ত্র, যিনি ছিলেন সত্তরের দশকের দুর্দান্ত স্ট্রাইকার। বাশার আবদুল্লাহ, কুয়েতের জাতীয় ফুটবলে সেরা গোলদাতাদের একজন। দুজনই করেছেন ৭৫ গোল, যা তাদের জাতীয় দলের ইতিহাসে অসাধারণ অর্জন।

সম্পর্কিত ট্যাগ :

মন্তব্য (০)

মন্তব্য করুন

আপনার ইমেল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না. প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করা হয়েছে *

সম্পর্কিত খবর