দেশজুড়ে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা আপাতত কম, জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আজ শনিবার দেশের বেশিরভাগ এলাকায় বড় ধরনের বৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা নেই। তবে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কিছু এলাকায়, বিশেষ করে সিলেট ও ময়মনসিংহে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।আবহাওয়াবিদদের মতে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ দুর্বল হয়ে পড়েছে, ফলে বৃষ্টির প্রবণতা কমে গেছে। মৌসুমি বায়ুও ধীরে ধীরে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে, যার ফলে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে শুরু করেছে।আবহাওয়াবিদ মো.

ওমর ফারুক জানিয়েছেন, ৮ ও ৯ জুন দেশের কিছু অংশে তাপপ্রবাহ দেখা দিতে পারে। ফলে গরমের তীব্রতা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তিনি বলেন, আগামী পাঁচ দিনে বৃষ্টিপাত তুলনামূলকভাবে কম হবে, তবে গরমের দাপট বাড়তে পারে।আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আজ থেকে ৪ জুন পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিচ্ছিন্নভাবে বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়তে পারে, বিশেষ করে মধ্য ও পশ্চিমাঞ্চলে।গত ২৪ ঘণ্টার পরিসংখ্যান বলছে, খুলনার কয়রায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৩৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বান্দরবানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বান্দরবানে সর্বোচ্চ ১৪১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে, যা ওই অঞ্চলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করেছে।এদিকে, গত দুই দিনের টানা বৃষ্টি ও জোয়ারের কারণে লক্ষ্মীপুর, কক্সবাজার, মহেশখালী ও কুতুবদিয়ার অন্তত ৭৮টি গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে প্রায় দুই লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন বলে স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে।খুলনার কয়রায় কপোতাক্ষ নদের বেড়িবাঁধের ৩০০ মিটার অংশ ধসে গেছে, যার ফলে আরও বিস্তৃত এলাকা প্লাবনের আশঙ্কা করা হচ্ছে। পটুয়াখালী ও কক্সবাজারে ঝোড়ো হাওয়ায় দুই হাজারের বেশি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ঢাকায়ও গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে একাধিক এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে নিউমার্কেট, কাজীপাড়া ও মিরপুর এলাকাগুলোতে মুষলধারে বৃষ্টির কারণে সড়কে পানি জমে চরম দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে।