ব্রেকিং নিউজ :

দৃষ্টিকোণ নিউজ একটি নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ অনলাইন সংবাদ মাধ্যম, যা সর্বশেষ সংবাদ ও বিশ্লেষণ প্রকাশ করে।

আমরা দেশের ও বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ খবর, রাজনীতি, অর্থনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর নির্ভরযোগ্য প্রতিবেদন প্রকাশ করি।

অর্থনীতি

বিদেশি বিনিয়োগের চিত্র: ব্যাংকে ঊর্ধ্বগতি, বিদ্যুতে ধস

বিদেশি বিনিয়োগের চিত্র: ব্যাংকে ঊর্ধ্বগতি, বিদ্যুতে ধস Image সংগৃহীত | ছবি: সংগৃহীত
ইমেইল :

২০২৪ সালে বাংলাদেশে মোট ১২৭ কোটি ৩ লাখ মার্কিন ডলারের নিট বৈদেশিক সরাসরি বিনিয়োগ (FDI) এসেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ হয়েছে ব্যাংক খাতে, যেখানে এক বছরে এসেছে ৪১ কোটি ৬৩ লাখ ডলার। অপরদিকে, সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ কমেছে বিদ্যুৎ খাতে, যেখানে বিনিয়োগ কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৩ কোটি ৫৮ লাখ ডলারে, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৭১ শতাংশ কম।বৈদেশিক বিনিয়োগের খাতভিত্তিক চিত্র:ব্যাংক খাত:২০২৪: ৪১.৬৩ কোটি ডলার২০২৩: ২১.০৪ কোটি ডলার২০২২: ২৬.৯৭ কোটি ডলারএই প্রবৃদ্ধির পেছনে অন্যতম কারণ বিদেশি ব্যাংক (যেমন: স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড, এইচএসবিসি) গুলো তাদের দেশে ডলার রপ্তানি করতে না পারায় মুনাফা দেশে রেখে বিনিয়োগ হিসেবে গণ্য হওয়া।তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাত:বিনিয়োগ এসেছে ৪০.৭৪ কোটি ডলারতবে গত বছরের তুলনায় কিছুটা হ্রাস পেয়েছেচামড়া ও চামড়াজাত পণ্য:বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩.৬০ কোটি ডলারেকৃষি ও মৎস্য খাত:বেড়ে হয়েছে ৭.০৫ কোটি ডলারট্রেডিং খাত:বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫.৬৩ কোটি ডলারেবিদ্যুৎ খাত:২০২৪: ৩.৫৮ কোটি ডলার২০২৩: ১২.২৫ কোটি ডলারহ্রাস: ৮.

৬৭ কোটি ডলার (৭১%)নিট এফডিআই প্রবাহ:মোট FDI (inflow): ৪২৭ কোটি ডলারআউটফ্লো (লাভ ও মূলধন প্রত্যাহার): ৩০০ কোটি ডলারনিট এফডিআই: ১২৭ কোটি ডলার২০২৩ সালে নিট এফডিআই ছিল: ১৪৬ কোটি ডলারহ্রাস: প্রায় ১৯ কোটি ডলার বা ১৩.০১%প্রান্তিকভিত্তিক নিট এফডিআই (২০২৪):জানুয়ারি-মার্চ: ৪০.৩৪ কোটি ডলারএপ্রিল-জুন: ২৭.২২ কোটি ডলারজুলাই-সেপ্টেম্বর: ১০.৪৩ কোটি ডলারঅক্টোবর-ডিসেম্বর: ৪৯.০৪ কোটি ডলারজুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান, রাজনৈতিক অস্থিরতা বিনিয়োগে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।ইকুইটি বিনিয়োগ কমেছে:২০২৪: ৫৪.৪৬ কোটি ডলার২০২৩: ৫৮.৮২ কোটি ডলারহ্রাস: ৪.৩৬ কোটি ডলার (৭.৪২%)ইকুইটি বিনিয়োগ কমা দীর্ঘমেয়াদি বিদেশি বিনিয়োগে অনাগ্রহের ইঙ্গিত।বিশ্লেষণ:বিশ্বব্যাংকের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন মন্তব্য করেছেন—"দেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধির পূর্বশর্ত হলো অবকাঠামো, শ্রমিক, নীতির ধারাবাহিকতা এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা। এগুলো না থাকলে FDI বাড়বে না। সরকার উদ্যোগ নিলেও তা যথেষ্ট নয়।" ব্যাংক খাতের প্রবৃদ্ধির পেছনে প্রকৃত নতুন বিনিয়োগের চেয়ে বেশি অবদান রয়েছে বিদেশি ব্যাংকের দেশে রেখে যাওয়া মুনাফার। বিদ্যুৎ ও ইকুইটি বিনিয়োগ কমে যাওয়া দেশের দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ পরিস্থিতির জন্য উদ্বেগজনক। দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ না গড়ে উঠলে ভবিষ্যতেও বিদেশি বিনিয়োগের গতি শ্লথই থাকবে।

সম্পর্কিত ট্যাগ :

মন্তব্য (০)

মন্তব্য করুন

আপনার ইমেল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না. প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করা হয়েছে *

সম্পর্কিত খবর