ব্রেকিং নিউজ :

দৃষ্টিকোণ নিউজ একটি নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ অনলাইন সংবাদ মাধ্যম, যা সর্বশেষ সংবাদ ও বিশ্লেষণ প্রকাশ করে।

আমরা দেশের ও বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ খবর, রাজনীতি, অর্থনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর নির্ভরযোগ্য প্রতিবেদন প্রকাশ করি।

আপনার টাকা

হঠাৎ কোনো বিপদে যেন থেমে না যায় সন্তানের পড়াশোনা, জেনে নিন শিক্ষাবিমার গুরুত্বপূর্ণ সুবিধাগুলো

হঠাৎ কোনো বিপদে যেন থেমে না যায় সন্তানের পড়াশোনা, জেনে নিন শিক্ষাবিমার গুরুত্বপূর্ণ সুবিধাগুলো Image সংগৃহীত | ছবি: সংগৃহীত
ইমেইল :
৩৩

বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত পরিবারে ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে শিক্ষাবিমা। পূর্বে বিমার প্রতি অনীহা থাকলেও এখন অনেক অভিভাবকই সন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভেবে আগেভাগে আর্থিক সুরক্ষার পরিকল্পনা করছেন। শিক্ষার ক্রমবর্ধমান খরচ ও ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তা মাথায় রেখেই শিক্ষাবিমা এখন বাস্তবসম্মত একটি সমাধান।কেন প্রয়োজন শিক্ষাবিমা?শিক্ষাবিমা কেবল একটি সঞ্চয় নয়, এটি একটি আর্থিক নিরাপত্তার হাতিয়ারও। অনেক সময় অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি—যেমন পিতা বা মাতার আকস্মিক মৃত্যু—সন্তানের শিক্ষাজীবনকে থামিয়ে দেয়। এই ধরনের দুর্যোগেও যাতে শিক্ষার ধারাবাহিকতা বজায় থাকে, সেজন্যই শিক্ষাবিমা গুরুত্বপূর্ণ। এই বিমায় পলিসিধারীর মৃত্যু হলেও শিক্ষাবিমা চালু থাকে এবং সন্তান নির্ধারিত সময় অনুযায়ী অর্থ পায়।শিক্ষাবিমার মূল সুবিধাসমূহ নির্দিষ্ট মেয়াদে প্রিমিয়াম পরিশোধের মাধ্যমে মেয়াদ শেষে এককালীন বা ধাপে ধাপে অর্থ পাওয়া যায়। মৃত্যুর পরও বিমাটি চালু থাকে এবং সন্তানের জন্য নির্ধারিত সুবিধা বজায় থাকে। শিক্ষার প্রতিটি ধাপে (স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়) পর্যায়ক্রমে অর্থপ্রদান পাওয়া সম্ভব। বিনিয়োগ হিসেবেও শিক্ষাবিমা উপকারী, কারণ এতে কিছুটা সঞ্চয়ের উপযোগিতাও রয়েছে। বেশিরভাগ কোম্পানি এখন অনলাইন প্রিমিয়াম পেমেন্ট ও ক্যালকুলেটরের সুবিধা দিচ্ছে।কোন বয়সে, কীভাবে? সাধারণত ১২ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুর জন্য শিক্ষাবিমা নেওয়া যায়। বিমার মেয়াদ ১০ থেকে ২৫ বছর পর্যন্ত নির্ধারণযোগ্য। প্রিমিয়াম শুরু করা যায় মাসিক মাত্র ১,০০০ টাকা থেকে।কোন প্রতিষ্ঠান কী সুবিধা দিচ্ছে?জীবন বীমা করপোরেশন, ডেল্টা লাইফ ও মেটলাইফসহ বিভিন্ন ক

োম্পানি শিক্ষাবিমা চালু করেছে।ডেল্টা লাইফ ইনস্যুরেন্স: পলিসির মেয়াদ শেষে বা বিমাগ্রহীতার মৃত্যুর পর বার্ষিক ভাতা হিসেবে প্রতি চার মাস পরপর অর্থ প্রদান। এই ভাতার পরিমাণ প্রতিবছর ৭% হারে বাড়ে, যাতে শিক্ষার ব্যয় সামাল দেওয়া যায়।মেটলাইফ ইনস্যুরেন্স: পলিসিধারীর মৃত্যুর পর পুরো বিমা অঙ্ক থেকে দায় কেটে এককালীন অর্থ প্রদান। মেয়াদ পর্যন্ত মাসিকভাবে বিমা টাকার ২% হারে সুবিধা। পরবর্তী সব প্রিমিয়াম মওকুফ করা হয়। সব প্রতিষ্ঠানেই অভিভাবক মারা গেলে সন্তান পুরো সুবিধা পায়, কোনোরকম বাড়তি টাকা না দিয়েই।কীভাবে করবেন শিক্ষাবিমা? সরাসরি কোম্পানির অফিসে গিয়ে বা অনুমোদিত এজেন্টের মাধ্যমে করা যায়। লেনদেন সবসময় অ্যাকাউন্ট পেই চেক, বিকাশ বা কার্ডের মাধ্যমে করা উত্তম। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান এখন ই-প্রিমিয়ামের সুবিধা দিচ্ছে।যেসব বিষয় খেয়াল রাখতে হবে:শুধুমাত্র এজেন্টের কথায় বিশ্বাস না করে নিজে পড়ে বুঝে সিদ্ধান্ত নিন।প্রিমিয়াম, লাভ, ও রিটার্নের হিসাব না বুঝে সই করবেন না।নমিনির তথ্য অবশ্যই পূরণ করুন।বিমা ও ব্যাংক সঞ্চয়ের পার্থক্য বুঝুন— ব্যাংক কেবল সঞ্চয় ও সুদের সুবিধা দেয়, কিন্তু বিমা দেয় আর্থিক সুরক্ষা ও সঞ্চয়ের যুগপৎ সুবিধা।উপসংহারশিক্ষাবিমা এখন শুধুই একটি আর্থিক পণ্য নয়, এটি সন্তানের ভবিষ্যতের এক ধরনের সুরক্ষাব্যবস্থা। হঠাৎ বিপদে সন্তান যেন পড়াশোনায় পিছিয়ে না পড়ে—এই চিন্তা থেকেই শিক্ষাবিমা হয়ে উঠছে মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য এক সাহসী পদক্ষেপ। আপনার সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য আজই ভাবুন, সচেতন হোন, নিরাপদ হোন।

সম্পর্কিত ট্যাগ :

মন্তব্য (০)

মন্তব্য করুন

আপনার ইমেল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না. প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করা হয়েছে *

সম্পর্কিত খবর