ব্রেকিং নিউজ :

দৃষ্টিকোণ নিউজ একটি নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ অনলাইন সংবাদ মাধ্যম, যা সর্বশেষ সংবাদ ও বিশ্লেষণ প্রকাশ করে।

আমরা দেশের ও বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ খবর, রাজনীতি, অর্থনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর নির্ভরযোগ্য প্রতিবেদন প্রকাশ করি।

অর্থনীতি

শুরুতেই বড় বাণিজ্যের অভিযোগ ‘হিট’ প্রকল্পে

শুরুতেই বড় বাণিজ্যের অভিযোগ ‘হিট’ প্রকল্পে Image সংগৃহীত | ছবি: সংগৃহীত
ইমেইল :

 বিশেষ প্রতিবেদন | কালের কণ্ঠ অনুসরণে সংক্ষেপিত ও বস্তুনিষ্ঠ উপস্থাপনাবিশ্বব্যাংকের সহায়তায় উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে গৃহীত ‘হায়ার এডুকেশন অ্যাকসেলারেশন অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন (হিট)’ প্রকল্পে শুরুতেই বড় ধরনের বাণিজ্যের আয়োজন চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পের মধ্যে শুধুমাত্র গবেষণা তহবিল নিয়েই প্রায় ১০০ কোটি টাকার বণ্টনের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। মূল অভিযোগ কী?হিট প্রকল্পের প্রথম ধাপে ছাড়ের অপেক্ষায় থাকা ৬০০ কোটি টাকার মধ্যে ১০০ কোটি টাকা একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট ভাগ করে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে।অভিযোগ রয়েছে, আওয়ামী লীগপন্থী শিক্ষকদের কাজ পাইয়ে দিতে রিভিউয়ারদের ম্যানেজ করার প্রক্রিয়া চলেছে।রিভিউয়ের নম্বর অনুযায়ী গবেষণা প্রকল্প বাছাই হচ্ছে। তবে যারা নম্বর দিচ্ছেন, তাদের অনেককেই বিতর্কিত তালিকা থেকে চূড়ান্ত করা হয়েছে।২ কোটি টাকার প্রজেক্টে ৫০% ভাগ বাটোয়ারার মৌখিক চুক্তিরও অভিযোগ উঠেছে। পিডি নিয়োগে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ:মূল মেধাতালিকায় প্রথম হওয়া শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল হাসনাত মুহাম্মদ সোলায়মানকে একদিনের মাথায় নিয়োগ বাতিল করা হয়।কারণ: তিনি আওয়ামী লীগপন্থী নন বলে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের মৌখিক নির্দেশে তার জিও বাতিল করা হয়।পরে চুয়েটের অধ্যাপক আসাদুজ্জামান, যিনি সরকারপন্থী হিসেবে পরিচিত, তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতিক্রিয়া:সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড.

আলিমুল ইসলাম জানান,হিট প্রকল্পে রিভিউয়ার তালিকায় অনেক বিতর্কিত নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা প্রকল্পের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। বিশ্বব্যাংক ও সরকারের অর্থায়ন:মোট ব্যয়: ৪০১৬ কোটি ৫৭ লাখ টাকাবাংলাদেশ সরকার: ২০৩৩ কোটি টাকাবিশ্বব্যাংক: ১৯৮৩ কোটি টাকাপ্রকল্প মেয়াদ: পাঁচ বছর (শুরু: জুলাই ২০২৩) আইনি পদক্ষেপ ও ইউজিসির অবস্থান:প্রাথমিকভাবে বাদ পড়া অধ্যাপক হাসনাত আদালতে রিট করেছেন এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকেও তার পক্ষে মতামত দেওয়া হয়েছে।ইউজিসি চেয়ারম্যান ড. এস এম এ ফায়েজ বলেন:“আমরা স্বচ্ছতা বজায় রাখতে চাই। আদালতের নির্দেশ আসলে সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নেব।” দরপত্রেও দুর্নীতির অভিযোগ:অ্যাক্টিভ নেটওয়ার্ক সরবরাহের দরপত্রে নিয়ম বহির্ভূতভাবে একটি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেওয়ার পরিকল্পনার অভিযোগ উঠেছে।প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট সার্টিফিকেশন না থাকা সত্ত্বেও একটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কাজ দেওয়া চূড়ান্তের পথে। সংক্ষেপে মূল পয়েন্টগুলো: ৪ হাজার কোটি টাকার ‘হিট’ প্রকল্পে দুর্নীতির গন্ধ গবেষণা তহবিলের ১০০ কোটি টাকায় সিন্ডিকেট বাণিজ্য রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্বে পিডি পরিবর্তন দরপত্রে অনিয়মের আশঙ্কা ইউজিসি বলছে, “স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হবে”এই ঘটনা বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা খাতে নিরপেক্ষতা, গবেষণার গুণমান এবং সরকারি প্রকল্পের স্বচ্ছতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। এখন দেখার বিষয়—বিশ্বব্যাংক ও আদালতের হস্তক্ষেপে প্রকল্পটি কতটা সংস্কারমুখী হয়।

মন্তব্য (০)

মন্তব্য করুন

আপনার ইমেল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না. প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করা হয়েছে *

সম্পর্কিত খবর