গত কয়েক দিনে দেশের ক্রিকেটে সবচেয়ে আলোচিত নাম তাওহিদ হৃদয়। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আম্পায়ারের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে তাঁর নিষেধাজ্ঞা, এবং সেই নিষেধাজ্ঞা কমানো-বাড়ানো নিয়ে এত আলোচনা হয়েছে যে, বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে টেস্ট সিরিজও আড়ালে চলে গেছে। যেখানে সিলেটে প্রথম টেস্টে হার দিয়ে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে আছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।তবে নিষেধাজ্ঞার শাস্তি পিছিয়ে আগামী মৌসুমের শুরুতে নেওয়ায় আজ গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে মোহামেডানের হয়ে খেলতে পারেন হৃদয়। তবে খুব একটা প্রভাব রাখতে পারেননি তিনি। মোহামেডানের যখন রানের প্রয়োজন ছিল, ঠিক তখন ওয়াসি সিদ্দীকের বলে পারভেজ জীবনের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে যান হৃদয়। তিনটি চার মেরে ৫৪ বলে করেন ৩৭ রান।হৃদয় আউট হওয়ার সময় মোহামেডানের স্কোর ছিল ৩২ ওভারে ৩ উইকেটে ১৪৬ রান, যেখানে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল আরও ৯১ রান। হৃদয়ের পরপরই আউট হন আরিফুল ইসলাম। এতে কিছুটা চাপে পড়ে মোহামেডান। এরপর মাহমুদউল্লাহ ও সাইফউদ্দিন দ
লের হাল ধরেন।হৃদয়ের নিষেধাজ্ঞা শুরু হয় মোহামেডান-আবাহনী ম্যাচে আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদের সঙ্গে তর্কের কারণে। প্রথমে এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলেও, ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে মন্তব্য করার কারণে আরও এক ম্যাচ নিষিদ্ধ করা হয় তাকে।মোহামেডানের চাপে বিসিবির আম্পায়ার্স বিভাগ দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা কমিয়ে এক ম্যাচে নামিয়ে আনে। পরে তামিম ইকবালের নেতৃত্বে ক্রিকেটাররা বিসিবি সভাপতির সঙ্গে দেখা করে হৃদয়ের নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি সরানোর জন্য চাপ দেন।কাল রাতে সিসিডিএমের টেকনিক্যাল কমিটি আম্পায়ার্স বিভাগের শাস্তি কমানোর সিদ্ধান্ত বাতিল করে জানায়, নিয়ম অনুযায়ী চলতি লিগের পরবর্তী ম্যাচেই হৃদয় নিষিদ্ধ থাকবেন। তবে ক্রিকেটারদের চাপের মুখে বিসিবি সিদ্ধান্ত পাল্টাতে বাধ্য হয়।ফলে নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, হৃদয় বাকি এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা আগামী মৌসুমের প্রথম ম্যাচে ভোগ করবেন। এই কারণে তিনি চলতি মৌসুমে মোহামেডানের বাকি দুটি ম্যাচেই খেলতে পারছেন।
মন্তব্য (০)