পাকিস্তানে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে যাওয়ার পথে দুবাইয়ে যাত্রাবিরতি নেয় বাংলাদেশ দল। সেই যাত্রাবিরতিকেই কাজে লাগিয়ে আয়োজন করা হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের একটি বিশেষ সিরিজ। আজই শুরু হচ্ছে এই সিরিজ।পাকিস্তানে সরাসরি বিমান যোগাযোগ না থাকায় বাধ্যতামূলক যাত্রাবিরতি পড়ে দুবাইয়ে। সেই সুযোগটাই কাজে লাগিয়েছে আমিরাত ক্রিকেট বোর্ড। বিসিবির কাছে দুই ম্যাচের একটি টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রস্তাব দেয় তারা। বিসিবিও তা মেনে নেয়, কারণ এতে বাংলাদেশ দলের জন্য এটি একধরনের প্রস্তুতিমূলক সুবিধা হিসেবেই বিবেচিত হচ্ছে। বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপের সম্ভাব্য বিকল্প ভেন্যু হিসেবে আরব আমিরাতই এগিয়ে। তাই এখানকার কন্ডিশনে খেলে মানিয়ে নেওয়ার কৌশলও রয়েছে এই সিরিজের পেছনে। লিটন দাসের নেতৃত্বে নতুন চ্যালেঞ্জএই সিরিজ দিয়েই নতুন টি-টোয়েন্টি চক্র
ে অধিনায়ক হিসেবে যাত্রা শুরু করছেন লিটন দাস। এর আগে ইনজুরি বা অনুপস্থিতির কারণে অস্থায়ীভাবে নেতৃত্ব দিলেও এবারই প্রথম দীর্ঘমেয়াদি দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি।“লম্বা সময়ের পরিকল্পনা করতে পারার স্বস্তি রয়েছে,”—বলেছেন লিটন দেশ ছাড়ার আগে।নতুন অধিনায়ক হিসেবেই নিজে ওপেনার হয়েও তিন নম্বরে ব্যাটিং করছেন, যাতে দলের ভারসাম্য বজায় থাকে। যদিও সাম্প্রতিক ছয় ইনিংসে তাঁর ব্যাটে নেই কোনো ফিফটি, তবুও আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি নেই তাঁর কণ্ঠে।আরব আমিরাত: তুলনামূলক সহজ প্রতিপক্ষএর আগে আরব আমিরাতের বিপক্ষে তিনটি টি-টোয়েন্টিতে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ এবং প্রতিবারই জিতেছে।বাংলাদেশের বিশ্বমানের পেস আক্রমণের বিপরীতে আমিরাতের বোলিং লাইনআপ তুলনামূলক দুর্বল। ফলে লিটনের জন্য এটি হতে পারে আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর এক দারুণ সুযোগ।লক্ষ্য একটাই—স্বস্তির জয় দিয়ে লম্বা সফরের আত্মবিশ্বাসী সূচনা।
মন্তব্য (০)