বাংলাদেশ বনাম জিম্বাবুয়ের মধ্যকার সিলেট টেস্টে চমৎকার সূচনা করলো টাইগাররা। দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই নাহিদ রানা ও হাসান মাহমুদ তাদের তীক্ষ্ণ বোলিং দিয়ে জিম্বাবুয়েকে চাপে ফেলে দিয়েছেন। এখন পর্যন্ত ৮৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপর্যস্ত অবস্থায় রয়েছে সফরকারীরা।দিনের তৃতীয় ওভারেই নাহিদের প্রথম আঘাতবাংলাদেশের জন্য দিনটি দারুণভাবে শুরু করেন নাহিদ রানা। দিনের মাত্র তৃতীয় ওভারে বল হাতে নিয়ে জিম্বাবুইয়ান ওপেনার বেন কারেনকে বাউন্সারে বিভ্রান্ত করে শর্ট লেগে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন। ১৮ রান করে বিদায় নেন কারেন। নাহিদের বোলিংয়ে বাংলাদেশের বোলিং ইউনিট ফিরে পায় আস্থা ও আত্মবিশ্বাস।বেনেটকে ফিরিয়ে দ্বিতীয় শিকারও নাহিদেরনাহিদের ধারাবাহিক আক্রমণ অব্যাহত থাকে। অফ স্টাম্পের খানিকটা বাইরে রাখা একটি সুন্দর লেংথের বল স্কয়ার কাট করতে গিয়ে ব্যাটের কানায় লাগিয়ে উইকেটের পেছনে দাঁড়ানো জাকের আলীর হাতে ক্যাচ তুলে দেন বেনেট। ৫৭ রানে থেমে যায় তাঁর ইনিংস। জিম্বাবুয়ের স্কোর তখন ৮৮/২।হাসানের ইনসুইংয়ে অফ স্টাম্প উড়ল ওয়েলচেরনাহিদের পর এবার বল হাত
ে নিজের জাত চেনান হাসান মাহমুদ। তাঁর দুর্দান্ত একটি ইনসুইংয়ে নিক ওয়েলচ চমকে যান। বল সোজা গিয়ে উড়িয়ে দেয় অফ স্টাম্প। ৮৮ রানে জিম্বাবুয়ের তৃতীয় উইকেট পড়ে যায়, ম্যাচে পরিষ্কারভাবে নিয়ন্ত্রণ নিতে থাকে বাংলাদেশ।আগের দিনের সারসংক্ষেপবাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৬১ ওভারে সংগ্রহ করে ১৯১ রান। উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন মুমিনুল হক (৫৬), নাজমুল হোসেন শান্ত (৪০) ও জাকের আলী (২৮)। জিম্বাবুয়ের হয়ে বল হাতে সফল ছিলেন মাসাকাদজা (৩/২১), মুজারাবানি (৩/৫০) এবং মাধেভেরে (২/২)।জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৪.১ ওভারে ৬৭ রান করে দিন শেষ করে জিম্বাবুয়ে। উইকেট না হারালেও পরদিন সকালেই সব পাল্টে যায়। বোলারদের বুদ্ধিদীপ্ত আক্রমণে জিম্বাবুয়ে এখন চাপের মুখে।শেষ কথাসিলেট টেস্টে দ্বিতীয় দিন পর্যন্ত বাংলাদেশ নিজেদের আধিপত্য ভালোভাবেই প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে। তরুণ পেসারদের ধারাবাহিকতা এবং পরিণত বোলিং পরিকল্পনা দেখে আশাবাদী টিম ম্যানেজমেন্ট। এখন দেখার বিষয়, বাংলাদেশের বোলাররা কতটা দ্রুত জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং লাইনআপ গুঁড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়।
মন্তব্য (০)