ডিয়েগো ম্যারাডোনার স্মৃতির শহর নেপলস আবারও উদ্‌যাপন করছে শিরোপা জয়। এক যুগ পেরিয়ে, দুই মৌসুমের ব্যবধানে ইতালিয়ান সিরি ‘আ’ লিগ শিরোপা ফিরে এল নাপোলির ঘরে। ২০২২–২৩ মৌসুমে দীর্ঘ ৩৩ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে শিরোপা জিতেছিল নাপোলি। আর এবার ২০২৪–২৫ মৌসুমে আরও একবার চ্যাম্পিয়নের মুকুট পরল নীল-সাদা জার্সিধারীরা।শেষ মুহূর্তের উত্তেজনাই নির্ধারণ করেছে চ্যাম্পিয়ন কেসিরি ‘আ’ মৌসুমের শেষ ম্যাচ ছিল এক কথায় রোমাঞ্চে ভরপুর। নাপোলি ও ইন্টার মিলানের মধ্যে পয়েন্ট ব্যবধান ছিল মাত্র ১। অর্থাৎ, শেষ ম্যাচে জিতলেই শিরোপা নাপোলির, আর পা হড়কালেই সুযোগ পেত ইন্টার। ইন্টার মিলান তাদের ম্যাচে কোমোর বিপক্ষে ২–০ গোলে জয় তুলে নেয়। কিন্তু নাপোলিও জয়ের মঞ্চ গড়ে তোলে ডিয়েগো ম্যারাডোনা স্টেডিয়ামে। কালিয়ারির বিপক্ষে তাদেরও জয় ২–০ ব্যবধানে। ফলে ৩৮ ম্যাচ শেষে ৮২ পয়েন্ট নিয়ে লিগের শীর্ষে থেকে শিরোপা জিতে নাপোলি, আর ৮১ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ইন্টার মিলান।ম্যাকটমিনে ও লুকাকুর দুর্দান্ত দুই গোল বদলে দিয়েছে ইতিহাসনাপোলির হয়ে মৌসুমজুড়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা রেখেছেন দুই তারকা— স্কট ম্যাকটমিনে: ১২ গোল ও ৭ অ্যাসিস্ট রোমেলু লুকাকু: ১৪ গোল ও ১০ অ্যাসিস্ট শেষ ম্যাচেও তাঁরাই হয়ে উঠেছেন নায়ক। ম্যাচের ৪২ মিনিটে মাতেও পলিতানোর ক

্রসে অসাধারণ বাইসাইকেল কিকে গোল করেন ম্যাকটমিনে। দ্বিতীয়ার্ধে, বিরতির পর মাঠের মাঝ থেকে বল নিয়ে একক দৌড়ে গোল করেন লুকাকু। এই দুটি গোলই শিরোপার ভাগ্য নির্ধারণ করে দেয়।তিন ক্লাবের হয়ে লিগ জয়ের ইতিহাস গড়লেন কোচ আন্তনিও কন্তেঅসাধারণ কোচিং ক্যারিয়ার গড়লেন আন্তনিও কন্তে। ইতালিয়ান ফুটবলের ইতিহাসে তিনিই প্রথম কোচ, যিনি তিনটি ভিন্ন ক্লাবের হয়ে সিরি ‘আ’ শিরোপা জিতলেন— জুভেন্টাস (২০১১–১২, ২০১২–১৩) ইন্টার মিলান (২০২০–২১) নাপোলি (২০২৪–২৫) নাপোলির এই সাফল্যে কোচ কন্তের প্রভাব ছিল দারুণ দৃশ্যমান।নেপলস শহরে উৎসব, স্টেডিয়ামে আলোর ঝলকানিশিরোপা নিশ্চিত হতেই নেপলস শহর রঙিন আলোয় উদ্ভাসিত হয়। ডিয়েগো ম্যারাডোনা স্টেডিয়ামে উল্লাসে ফেটে পড়ে সমর্থকেরা খেলোয়াড়রা করেন মাঠজুড়ে উদ্‌যাপন শহরের অলিগলিতে চলে আতশবাজি আর গান-বাজনা এই জয় যেন কেবল একটি শিরোপা জয় নয়, বরং একটি আবেগ, একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত।নাপোলির এই শিরোপা জয় ম্যারাডোনার নান্দনিক অতীতকে বর্তমানের সাফল্যে পরিণত করেছে। নাটকীয় এক মৌসুম শেষে দলের শক্তি, কোচের কৌশল এবং তারকাদের পারফরম্যান্সে গড়া এই জয় ইতালিয়ান ফুটবল ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। নাপোলি এখন শুধু ইতালির নয়, ইউরোপিয়ান ফুটবলের অন্যতম উদাহরণ।