ব্রেকিং নিউজ :

দৃষ্টিকোণ নিউজ একটি নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ অনলাইন সংবাদ মাধ্যম, যা সর্বশেষ সংবাদ ও বিশ্লেষণ প্রকাশ করে।

আমরা দেশের ও বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ খবর, রাজনীতি, অর্থনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর নির্ভরযোগ্য প্রতিবেদন প্রকাশ করি।

অন্যান্য

১২ লাখ বাংলাদেশি শ্রমিকের ভাগ্য নির্ধারণে আজ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত

১২ লাখ বাংলাদেশি শ্রমিকের ভাগ্য নির্ধারণে আজ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত Image প্রতীকী ছবি | ছবি: প্রতীকী ছবি
ইমেইল :

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে বাংলাদেশের জন্য সুবর্ণ সুযোগ তৈরি হয়েছে। দীর্ঘ এক বছরেরও বেশি সময় পর বন্ধ শ্রমবাজার আবার উন্মুক্ত হতে যাচ্ছে, যেখানে প্রায় ১২ লাখ বাংলাদেশি শ্রমিকের কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা রয়েছে।আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে মালয়েশিয়ার প্রশাসনিক শহর পুত্রজায়া-তে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাশুসন ইসমাইল এবং মানবসম্পদ মন্ত্রী স্টিভেন সিম চি কেও'র সঙ্গে এক যৌথ বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান এবং আইন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। বৈঠকে শ্রমিক পাঠানো সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষর হবে বলে জানা গেছে।বিশেষ চমক হিসেবে ৫০ হাজার বাংলাদেশি শ্রমিক সম্পূর্ণ বিনা খরচে মালয়েশিয়ায় কাজের সুযোগ পাবেন। দুই দেশের সরকারের সমন্বয়ে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে এসব শ্রমিকদের তালিকা তৈরি হবে এবং তারা ভিসা, টিকিটসহ অন্যান্য খরচ ছাড়াই সেখানে যেতে পারবেন।পূর্ববর্তী আলোচনা ও প্রস্তুতিএর আগে, ২০২৩ সালের ৪ অক্টোবর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ড. আনোয়ার ইব্রাহিম সংক্ষিপ্ত সফরে বাংলাদেশে আসেন। ঢাকায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড.

মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে দুই দেশ শ্রমবাজার, রোহিঙ্গা ইস্যু, শিক্ষা, প্রযুক্তি, বিনিয়োগ, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা এবং ভিসা সহজীকরণ ইত্যাদি বিষয়ে সহযোগিতা বাড়ানোর অঙ্গীকার করে।মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে ‘বন্ধু দেশ’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, “বাংলাদেশি শ্রমিকরা আধুনিক দাস নয়। তাদের মর্যাদা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতেই আমাদের এই পদক্ষেপ।”শ্রমবাজার খুললে কী লাভ?মালয়েশিয়ায় সাধারণ শ্রমিকের বেতন মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর তুলনায় দ্বিগুণ বা তারও বেশি। দীর্ঘ সময় ঝুলে থাকা এই শ্রমবাজার আবার চালু হলে বাংলাদেশের জন্য বিশাল অর্থনৈতিক সুবিধা আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছেন সংশ্লিষ্টরা।বাংলাদেশ সরকারের একাধিক সূত্র জানায়, মালয়েশিয়ায় প্রতি বছর বৈধভাবে শ্রমিক পাঠানো সম্ভব হলে রেমিটেন্স বাড়বে প্রায় পাঁচ বিলিয়ন ডলার। বিশেষ করে এই প্রক্রিয়ায় যদি কম খরচে শ্রমিক পাঠানো যায় ও তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা যায়, তবে এটি বাংলাদেশি অভিবাসী কর্মীদের জন্য একটি দৃষ্টান্ত হয়ে উঠবে।নজরদারির প্রয়োজনবাংলাদেশ দূতাবাস ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, কে কোন এজেন্সির মাধ্যমে শ্রমিক পাঠাল, তা বড় বিষয় নয় বরং শ্রমিকদের অভিবাসন ব্যয় কমিয়ে আনা এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করাই এখন সরকারের প্রধান লক্ষ্য।আজকের এই বৈঠক ও চুক্তির মধ্য দিয়ে লাখো বাংলাদেশি শ্রমিকের ভাগ্যে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলবে। যদি সব কিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী এগোয়, তবে আগামী কয়েক বছরেই বাংলাদেশ থেকে বিপুলসংখ্যক শ্রমিক মালয়েশিয়ায় পাঠানো সম্ভব হবে। এতে যেমন দেশের বেকারত্ব কমবে, তেমনি বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার আরও সমৃদ্ধ হবে। বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া সম্পর্কের এই নবযাত্রা হতে পারে দক্ষ জনশক্তি রপ্তানির এক নতুন মাইলফলক।

সম্পর্কিত ট্যাগ :

মন্তব্য (০)

মন্তব্য করুন

আপনার ইমেল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না. প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করা হয়েছে *

সম্পর্কিত খবর