ব্রেকিং নিউজ :

দৃষ্টিকোণ নিউজ একটি নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ অনলাইন সংবাদ মাধ্যম, যা সর্বশেষ সংবাদ ও বিশ্লেষণ প্রকাশ করে।

আমরা দেশের ও বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ খবর, রাজনীতি, অর্থনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর নির্ভরযোগ্য প্রতিবেদন প্রকাশ করি।

আইন-বিচার

মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ড খারিজ

মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ড খারিজ Image সংগৃহীত | ছবি: সংগৃহীত
ইমেইল :

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম শেষ পর্যন্ত খালাস পেয়েছেন। আপিল বিভাগের সর্বসম্মত রায়ে তিনি এই দণ্ড থেকে মুক্তি পান।আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন। এসময় আদালত বলেন, দণ্ড বাতিল করে তাকে খালাস দেওয়া হলো এবং অন্য কোনো মামলায় আটক না থাকলে তাকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।এই রায়ের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার রিভিউ শুনানিতে একজন অভিযুক্ত পুরোপুরি খালাস পেলেন, যা দেশের আইনি ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন ঘটনা।রায়ের পটভূমি ও আইনি প্রক্রিয়া২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রদান করেন। এরপর ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি তিনি আপিল করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে ২০১৯ সালের ৩০ অক্টোবর আপিল বিভাগ তার দণ্ড বহাল রাখেন।পরবর্তীতে ২০২০ সালের ১৫ মার্চ পূর্ণা

ঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে একই বছরের ১৯ জুলাই রিভিউ আবেদন করেন আজহারুল। এই আবেদনের ভিত্তিতে ২০২4 সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগ লিভ মঞ্জুর করে শুনানির আদেশ দেন।এর ধারাবাহিকতায়, ৮ মে শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য ২৭ মে তারিখ ধার্য করা হয় এবং আজ সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে রায় ঘোষণা করা হয়। মামলাটি আজকের কার্যতালিকায় এক নম্বরে ছিল।গ্রেপ্তার ও বিচারিক কার্যক্রম২০১২ সালের ২২ আগস্ট মগবাজারের বাসা থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে গ্রেপ্তার করে। এরপর থেকে তিনি কারাগারেই ছিলেন। এই মামলার বিভিন্ন ধাপে আজহারুলের পক্ষে আইনজীবী মো. শিশির মনির ও সৈয়দ মো. রায়হান উদ্দিন এবং রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক ও প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম শুনানি পরিচালনা করেন।আলোচনার ঝড় ও বিচারব্যবস্থার দৃষ্টান্তএই রায় ঘিরে দেশের বিভিন্ন মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে। কেউ একে বিচারব্যবস্থার শক্তিশালী দৃষ্টান্ত বলছেন, আবার কেউ প্রশ্ন তুলছেন সাক্ষ্য-প্রমাণের মূল্যায়ন নিয়ে।

সম্পর্কিত ট্যাগ :

মন্তব্য (০)

মন্তব্য করুন

আপনার ইমেল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না. প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করা হয়েছে *

সম্পর্কিত খবর