কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চাকরিবিধি লঙ্ঘন ও অনৈতিক আচরণের অভিযোগে দুই শিক্ষকের পদাবনতি এবং মাদক সেবনের অভিযোগে দুই শিক্ষার্থীকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।শিক্ষক পদাবনতির বিস্তারিতসিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী:ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আলী রেজওয়ানকে সহকারী অধ্যাপক পদে অবনমন করা হয়েছে।ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনকে প্রভাষক পদে নামিয়ে আনা হয়েছে।বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালে আলী রেজওয়ান এক সান্ধ্যকালীন কোর্সের শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়ন এবং বিভাগের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করায় তাঁকে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব থেকে সরানো হয়।অন্যদিকে, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠে। এরপর তদন্ত চলাকালে তাঁকে বা
ধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়। তদন্তে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় পদাবনতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।শিক্ষার্থী বহিষ্কারসিন্ডিকেট সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়, ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের এমবিএ শিক্ষার্থী তাকভির আল মাহমুদ ও সাইদ উদ্দিন আহমেদকে মাদক সেবনের দায়ে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। সেইসঙ্গে তাঁদের ক্যাম্পাস ও আবাসিক হলে প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মাঠ থেকে প্রক্টরিয়াল টিম তাঁদের আটক করে, যাদের মধ্যে এক বহিরাগতও ছিল।প্রশাসনের বক্তব্যবিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হায়দার আলী বলেন, “সিন্ডিকেট সভায় সদস্যদের সম্মতিক্রমেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এটি একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া, এখানে কারো ওপর কোনো কিছু চাপিয়ে দেওয়া হয়নি।”রেজিস্ট্রার (চলতি দায়িত্ব) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান, “১০৪তম সিন্ডিকেট সভায় অর্ধশতাধিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে, যা শিগগিরই লিখিত আকারে প্রকাশ করা হবে।”
মন্তব্য (০)