একজন গ্রাহক এখন থেকে নিজের নামে সর্বোচ্চ ১০টি মোবাইল সিম রাখতে পারবেন। এতদিন এ সীমা ছিল ১৫টি। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) সর্বশেষ কমিশন সভায় (১৯ মে) এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং তা অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।কেন কমানো হলো সিমের সংখ্যা?বিটিআরসির মতে, একজন ব্যক্তি সাধারণত এতগুলো সিম ব্যবহার করেন না। এমনকি যারা ১৫টি সিম নিবন্ধন করেছেন, তারাও একসঙ্গে ৫-৬টির বেশি ব্যবহার করেন না।এছাড়া— জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় সিম সংখ্যা কমানো জরুরি। অপারেটরদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা বন্ধ করা দরকার। আন্তর্জাতিক অনুশীলন অনুসরণ করা হয়েছে (ভারত ৯টি, পাকিস্তান ৫টি, মালদ্বীপ ১০টি, ইন্দোনেশিয়া ৩টি)। বর্তমান সিম ব্যবহারের চিত্র:দেশে সক্রিয় সিম: ১৮ কোটি ৬২ লাখ+প্রকৃত গ্রাহক: ৬ কোটি ৭৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৪৫ ৮০.৩২% গ্রাহকের নামে ৫টি বা তার কম সিম ১৬.২৩% গ্রাহকের নামে ৬-১০টি সিম মাত্র ৩.
৪৫% গ্রাহকের নামে ১১-১৫টি সিম ২৬ লাখ গ্রাহকের ১০টির বেশি সিম বন্ধ হবেএই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে ২৬ লাখ গ্রাহকের ৬৭ লাখ অতিরিক্ত সিম বন্ধ করতে হবে। তবে প্রবীণ বা নারী গ্রাহক, যাদের আঙুলের ছাপ বা পরিচয়পত্র নেই, তারা পরিবারের সদস্যদের নামে সিম রাখতে পারবেন। গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কাবিটিআরসির তদন্তে উঠে এসেছে—প্রতি মাসে দেশে গড়ে ৫০ লাখ সিম বিক্রি হয়অনেকে এক দিনে একাধিক সিম নিবন্ধন করেনকিছু অসাধু বিক্রেতা আঙুলের ছাপ সংরক্ষণ করে অবৈধ সিম ইস্যু করেএগুলো ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা ও জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলেই উল্লেখ করেছে বিটিআরসি। বিশেষজ্ঞ মতামতপ্রযুক্তি নীতিমালা পরামর্শক আবু নাজম মো. তানভীর হোসেন বলেন—"বিটিআরসির সিদ্ধান্ত ইতিবাচক। তবে যেসব সমস্যার কথা বলা হয়েছে, তা সঠিকভাবে নজরদারির আওতায় আনতে হবে। সিম সংখ্যা কমালেই সব সমস্যার সমাধান হবে না। পাশাপাশি অসাধু বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।" সংক্ষেপে মূল বিষয়গুলো: একজনের নামে সর্বোচ্চ ১০টি সিম ১৫টি সিম ব্যবস্থার অবসান সিম ব্যবহারের উপর বিটিআরসির বিশ্লেষণ জাতীয় নিরাপত্তা ও তথ্য সুরক্ষা নিশ্চিতকরণ অসাধু বিক্রেতাদের কার্যক্রমে উদ্বেগএই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে অপারেটর ও বিক্রেতাদের জন্য যেমন নতুন চ্যালেঞ্জ আসবে, তেমনি গ্রাহকদের সিম ব্যবহারে আরও সচেতন হতে হবে।
মন্তব্য (০)