ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতারা।সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অপরাধীদের নিরাপদ আশ্রয়ে পরিণত হয়েছে—এমন মন্তব্য করে জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, “এই উদ্যান এখন চাঁদাবাজ ও মাদককারবারিদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে।’’মঙ্গলবার দিবাগত রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লেখেন, “আমাদের ভাই সাম্যর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। পাশাপাশি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে কঠোর নজরদারির আওতায় আনতে হবে যাতে ভবিষ্যতে আর কোনো শিক্ষার্থী এভাবে প্রাণ না হারায়।”নিহত সাম্য ছিলেন ঢাবির ছাত্রদলের নেতানিহত শাহরিয়ার আলম সাম্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের মাস্টার্স ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন। এছাড়া তিনি স্যার এ এফ রহমান হল ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক হিসেবেও
দায়িত্ব পালন করতেন।সাম্যের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলায়। তার বাবা ফখরুল আলম স্থানীয়ভাবে একজন সুপরিচিত ব্যক্তিত্ব।ছুরিকাঘাতে হত্যা: কীভাবে ঘটল সেই রাতের নির্মম ঘটনাপ্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে সাম্য মোটরসাইকেল চালিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় আরেকটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে ধাক্কা লাগায় উভয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও ধস্তাধস্তি হয়।এক পর্যায়ে দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে সাম্যর ডান রানে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। রাত ১২টার দিকে সহপাঠীরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে উত্তাল ক্যাম্পাসসাম্যের মৃত্যুতে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে শিক্ষার্থীরা। রাতেই ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদের বাসভবনের সামনে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ মিছিল করে তারা। ছাত্রদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনকে এখনই কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
মন্তব্য (০)