ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর প্রসিকিউশন বিভাগে ঘুষ ও দুর্নীতির অভিযোগে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তদন্ত করে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।বিষয়টি আদালতের নজরে আসে ২৯ এপ্রিল প্রকাশিত দৈনিক যুগান্তর-এর একটি প্রতিবেদনের মাধ্যমে, যার শিরোনাম ছিল – “পুলিশ কর্মকর্তার নেতৃত্বে ঘুষের গোপন মিশন”। উক্ত প্রতিবেদনে ডিএমপির কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গুরুতর দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ধরা হয়।৩০ এপ্রিল ২০২৫, ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এই প্রতিবেদনটি আমলে নিয়ে স্বপ্রণোদিতভাবে আদেশ প্রদান করেন। পরবর্তীতে ৪ মে রোববার আদালত সূত্র থেকে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।আদেশে কী বলা হয়েছে?আদেশে বিচারক উল্লেখ করেন, উক্ত সংবাদ প্রতিবেদনে দেখা যায় যে, জি.
আর শাখায় মামলার নথি ইচ্ছাকৃতভাবে আটকে রাখা হয়, যার মাধ্যমে বিচারপ্রার্থীদের কাছ থেকে গোপনে টাকা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। শুধু তাই নয়, হাজতখানায় বন্দীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও খাবার পৌঁছানোর সুযোগ দেওয়ার বিনিময়ে ঘুষ নেওয়া হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে।এছাড়াও, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বদলি ও পদায়নের ক্ষেত্রেও ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়। বিচারক মনে করেন, এই অভিযোগগুলো অত্যন্ত গুরুতর, এবং প্রশাসনিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে তা তদন্তপূর্বক প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি।তদন্ত কমিটি গঠনবর্ণিত অভিযোগগুলোর তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা হলেন: মো. হুমায়ুন কবির – যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ, ঢাকা মিনহাজুর রহমান – মেট্রোরেল ম্যাজিস্ট্রেট রাশেদ হোসেন পরাগ – সহকারী পুলিশ কমিশনার (প্রসিকিউশন)
মন্তব্য (০)