আগামী বাজেটের প্রধান বৈশিষ্ট্যউচ্চাভিলাষী নয়: বাজেট বাস্তবভিত্তিক ও কল্যাণমুখী হবে, অবাস্তব প্রতিশ্রুতি থাকবে না।ছোট বাজেট: সম্পদের সীমাবদ্ধতা বিবেচনায় বাজেটের আকার ছোট করা হচ্ছে।জিডিপির ৫%–এর নিচে বাজেট ঘাটতির লক্ষ্য।দেশি উৎস থেকে কম ঋণ নেওয়া হবে। মূল চ্যালেঞ্জমূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ: সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়ন, কৃষি খাতে গুরুত্ব, আমদানি চালু রাখা।সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় ও টেকসই করা।বেসরকারি খাতকে উজ্জীবিত করা: ব্যবসাবান্ধব উদ্যোগ, লাইসেন্স নবায়নের ঝামেলা কমানো, ঋণ প্রবৃদ্ধি বাড়ানো। আর্থিক খাতের দুরবস্থা ও সংস্কার৬–৭টি ব্যাংক আমানত ফেরত দিতে পারছে না, ২০টির মতো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অবস্থাও ভালো না।ব্যাংক রেজল্যুশন অধ্যাদেশ কার্যকর করা হচ্ছে।বিশেষ তহবিল গঠন করে জনগণের স্বার্থে ব্যবহার।মানি লন্ডারিং চিহ্নিত ও জব্দ করা হচ্ছে, সম্পদ নিলামে তোলা হচ্ছে। রাজনৈতিক প্রভাব ও অর্থনৈতিক বাস্তবতাগত ১৫ বছরে কিছু গোষ্ঠী অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করেছে — যেমন ব্যাংকের মালিক আবার সংসদ সদস্যও ছিলেন।বিনিয়োগে রাজনৈতিক সরকারের
ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ — অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কারে উদ্যোগ নিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ও পুঁজিবাজারবাংলাদেশ ব্যাংকের নেতৃত্বে পরিবর্তন এসেছে: গভর্নর সিরিয়াস, আগের নেতিবাচক মানসিকতা কেটে যাচ্ছে।পুঁজিবাজারে অব্যবস্থাপনা: ফ্লোর প্রাইস ব্যবস্থা, ভুয়া কোম্পানি, আইপিও অনাগ্রহ, নিয়ন্ত্রকের একগুঁয়ে মনোভাব। পাচার হওয়া টাকা ও কালোটাকা প্রসঙ্গবিদেশে পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনার প্রক্রিয়া চলছে, তবে জটিলতা রয়েছে।জমি নিবন্ধনের বাজারমূল্যভিত্তিক পদ্ধতি চালুর চিন্তা রয়েছে, তবে গ্রামপর্যায়ে নয়।সরকারি পদ্ধতির মাধ্যমেই কালোটাকা সৃষ্টি হচ্ছে, অনেক সৎ মানুষও অজান্তেই কালোটাকার মালিক হচ্ছেন। বড় ব্যবসায়ী গ্রুপগুলোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপবসুন্ধরা, বেক্সিমকো, সামিট, সিকদারসহ ১২টি বড় গ্রুপকে চিহ্নিত করে ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে।ফরেনসিক নিরীক্ষার ঘাটতি থাকায় অর্থ আত্মসাৎ পুরোপুরি ধরা যাচ্ছে না। জনকল্যাণমুখী বাজেটের অঙ্গীকারপ্রবৃদ্ধির সুফল যেন সবার কাছে পৌঁছায়, সে দিক লক্ষ্য রেখেই বাজেট প্রণয়ন।বাজেট হবে বাস্তবসম্মত, কল্যাণমুখী ও সমতাভিত্তিক।
মন্তব্য (০)