ব্রেকিং নিউজ :

দৃষ্টিকোণ নিউজ একটি নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ অনলাইন সংবাদ মাধ্যম, যা সর্বশেষ সংবাদ ও বিশ্লেষণ প্রকাশ করে।

আমরা দেশের ও বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ খবর, রাজনীতি, অর্থনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর নির্ভরযোগ্য প্রতিবেদন প্রকাশ করি।

আইন-বিচার

রানা প্লাজার এক যুগ পরেও সংস্কারে ধীরগতি: তিনটি প্রধান কারণ

রানা প্লাজার এক যুগ পরেও সংস্কারে ধীরগতি: তিনটি প্রধান কারণ Image সংগৃহীত | ছবি: ফাইল ছবি
ইমেইল :
৩২

রানা প্লাজার মর্মান্তিক দুর্ঘটনার এক যুগ পার হয়ে গেলেও দেশের তৈরি পোশাক কারখানাগুলোর বৈদ্যুতিক, অগ্নি ও কাঠামোগত ত্রুটি এখনও পুরোপুরি দূর হয়নি। সাভারে ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল ঘটে যাওয়া রানা প্লাজা ধসে নিহত হন ১,১৩৮ শ্রমিক, আহত ও পঙ্গুত্ববরণ করেন আরও অনেকে। সেই ঘটনার পর নিরাপত্তা সংস্কার কাজ শুরু হলেও এখনও অনেক কারখানায় ঝুঁকি রয়ে গেছে।বর্তমানে দুটি প্রধান তদারকি সংস্থার অধীন থাকা ২,৫২৭টি কারখানার মধ্যে মাত্র ৭৩৬টি কারখানায় পূর্ণ সংস্কারকাজ শেষ হয়েছে, যা মাত্র ২৯ শতাংশ।কেন এতো ধীরগতি?বিশ্লেষক, শ্রমিকনেতা ও তদারক সংস্থার কর্মকর্তাদের মতে, তিনটি প্রধান কারণ সংস্কারকাজের ধীরগতির জন্য দায়ী:দেশি-বিদেশি চাপ কমে যাওয়ায় মালিকদের মধ্যে ত্রুটি সংশোধনে আগ্রহ কমে গেছে।অর্থনৈতিক সংকটে অনেক মালিক সংস্কারে বিনিয়োগ করতে পারছেন না।তদারকি সংস্থাগুলোর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির ঘাটতি পুরো প্রক্রিয়াকে শ্লথ করে দিয়েছে।প্রথমদিকে কিছুটা গতিতে সংস্কার কাজ চললেও সময়ের সাথে সেই গতি কমেছে। আন্তর্জাতিক সংস্থা ও ক্রেতাদের চাপও অনেকটা হ্রাস পেয়েছে, যার প্রভাব পড়েছে বাস্তবায়নে।কারখানাগুলোর বর্তমান অবস্থাআরএমজি সাসটেইনিবিলিটি

কাউন্সিল (RSC) বর্তমানে তদারকি করছে ১,৮৬১টি কারখানা, যার মধ্যে ৬৩৮টি কারখানায় সব ধরনের ত্রুটি সংশোধন হয়েছে। সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল হক জানান,"আমরা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করছি, এবং নিরাপত্তা সংশোধনের অগ্রগতি এখন ৮৬.১৬ শতাংশ।"অন্যদিকে, ইন্ডাস্ট্রি সেফটি ইউনিটের অধীনে থাকা ৬৬৬টি কারখানার মধ্যে মাত্র ৯৮টি শতভাগ সংস্কার শেষ করেছে। প্রায় ২০০টিরও বেশি কারখানা ইতিমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে।ডিআইএফই-এর উপমহাপরিদর্শক মো. আকিদ-উল-হাসান বলেন,"যেসব মালিকেরা সংস্কার কাজে আগ্রহ দেখাননি, তাঁদের অনেকেই ব্যবসা থেকে ঝরে পড়েছেন। এখন যারা আছেন, তারা টিকে থাকার স্বার্থেই সংস্কারে মনোযোগী হচ্ছেন।"মালিকদের দৃষ্টিভঙ্গি ও শ্রমিকদের উদ্বেগবিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম দাবি করেন,"সংস্কারে কিছুটা ধীরগতি থাকলেও অধিকাংশ কারখানা ৯০ শতাংশ ত্রুটি সংশোধন করেছে। অর্থনৈতিক সংকট অন্যতম কারণ।"তবে শ্রমিক সংগঠন বিজিআইডব্লিউএফের সভাপতি বাবুল আখতার বলেন,"কারখানার সংস্কার ব্যয়বহুল। আগে ব্যয় বহন করত অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্স। এখন মালিকদের অধিকাংশ খরচ নিজে বহন করতে হয় বলে অনীহা কাজ করে।"

সম্পর্কিত ট্যাগ :

মন্তব্য (০)

মন্তব্য করুন

আপনার ইমেল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না. প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করা হয়েছে *

সম্পর্কিত খবর