রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের এক নতুন ধাপে প্রবেশ করল ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে রাতভর ভয়াবহ হামলার মাধ্যমে। এই বছরের সবচেয়ে বড় হামলায় অন্তত ৮ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন বহু মানুষ। শহরের বিভিন্ন অংশে ভবন ধসে পড়েছে ও গুরুতর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কেবল কিয়েভ নয়, আরও সাতটি অঞ্চলেও একযোগে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এসব হামলার ফলে একাধিক স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং সাধারণ জনগণের মাঝে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।এই ঘটনার পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তার দক্ষিণ আফ্রিকার সরকারি সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফিরে আসেন। দেশবাসীর প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা কখনও পিছু হটব না, এই যুদ্ধ আমাদের স্বাধীনতার জন্য।”এদিকে, দীর্ঘদিন ধরে চলা শান্তি আলোচনার কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। একাধিক পক
্ষের মধ্যস্থতায় কিছুটা গতি আসলেও, মূল সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়নি।যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও কড়া ভাষায় জেলেনস্কিকে আক্রমণ করেন, বলেন, “তিনি যদি ক্রিমিয়া রাশিয়ার কাছে ছেড়ে দিতে রাজি না হন, তবে কোনো সমঝোতা সম্ভব নয়।” ট্রাম্পের এই বক্তব্য পশ্চিমা বিশ্বে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে।অন্যদিকে, রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, জেলেনস্কির নেতৃত্বে কোনো শান্তি চুক্তি সম্ভব নয়। তারা আরও বলেন, “ইউরোপের দেশগুলো ইউক্রেনকে সহায়তা দিয়ে নিজেদের সুরক্ষার চেষ্টা করছে, কিন্তু তারা রাশিয়ার বিজয়ের সম্ভাবনায় আতঙ্কিত।”এই যুদ্ধ এখন কেবল একটি সংঘর্ষ নয়, বরং আন্তর্জাতিক রাজনীতির জটিল খেলার অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিটি হামলা, প্রতিটি কূটনৈতিক বিবৃতি যেন ভবিষ্যতের পৃথিবীকে নতুন করে রূপ দিচ্ছে।
মন্তব্য (০)