ব্রেকিং নিউজ :

দৃষ্টিকোণ নিউজ একটি নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ অনলাইন সংবাদ মাধ্যম, যা সর্বশেষ সংবাদ ও বিশ্লেষণ প্রকাশ করে।

আমরা দেশের ও বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ খবর, রাজনীতি, অর্থনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর নির্ভরযোগ্য প্রতিবেদন প্রকাশ করি।

ইউরোপ

দুর্নীতির অভিযোগে দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইন অভিযুক্ত

দুর্নীতির অভিযোগে দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইন অভিযুক্ত Image সংগৃহীত | ছবি: ফাইল ছবি
ইমেইল :

দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইনকে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে, বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে জিওনজু জেলা প্রসিকিউটরস অফিস।২০১৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকা মুন জে-ইনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি তার জামাইকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে এক সাবেক সংসদ সদস্যকে একটি সরকারি অনুদানে পরিচালিত অলাভজনক সংস্থার প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেন।প্রসিকিউটরদের দাবি অনুযায়ী, মুন লি সাং-জিক নামের সেই সাবেক আইনপ্রণেতাকে "এসএমই অ্যান্ড স্টার্টআপস এজেন্সির" প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেন, যিনি তখন থাইল্যান্ডভিত্তিক ইস্টার জেটের নিয়ন্ত্রণে ছিলেন। এর বিনিময়ে, মুনের সাবেক জামাতা "সিও" পদে নিয়োগ পান।এই পদের মাধ্যমে প্রায় ২২৩ মিলিয়ন ওন (মার্কিন ডলার হিসেবে প্রায় $১৫১,৯৫৯) বেতন ও অন্যান্য সুবিধা পান ওই জামাতা, যা প্রসিকিউটরদের মতে, ঘুষ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।ডেমোক্রেটিক পার্টি এই অভিযোগকে "রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত" ও "প্রসিকিউশন পাওয়ারের অপব্যবহার" বলে অভিহিত করেছে। দলের মুখপাত্র পার্ক কিয়ং-মি এক বিবৃতিতে বলেন

,"তাহলে একজন জামাতার বেতনই প্রেসিডেন্টের ঘুষ? চার বছর ধরে তদন্ত চালিয়ে এটাই কি তাদের সেরা যুক্তি?"এই অভিযোগে মুন যুক্ত হলেন দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্টদের সেই দীর্ঘ তালিকায়, যারা ক্ষমতার বাইরে গিয়ে আইনের মুখোমুখি হয়েছেন।তার উত্তরসূরি, অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইয়োল বর্তমানে 'মার্শাল ল' ঘোষণার অভিযোগে বিদ্রোহ মামলায় বিচারাধীন। উল্লেখ্য, কোরিয়ার আরও চারজন সাবেক প্রেসিডেন্ট, যেমন পার্ক গিউন-হে এবং লি মিউং-বাক, ইতোমধ্যে কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন।এছাড়া মুনের রাজনৈতিক মেন্টর সাবেক প্রেসিডেন্ট রোহ মু-হিউন ২০০৯ সালে ঘুষ মামলার তদন্ত চলাকালে আত্মহত্যা করেন।প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় মুন একজন মানবাধিকার আইনজীবী হিসেবে খ্যাত ছিলেন। তিনি সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্প্রসারণ এবং উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের পক্ষে কাজ করেন।এদিকে, দক্ষিণ কোরিয়ায় আগামী ৩ জুন নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে, যেহেতু ইউন সুক-ইয়োলের অভিশংসন চলতি মাসে সাংবিধানিক আদালত কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে।

সম্পর্কিত ট্যাগ :

মন্তব্য (০)

মন্তব্য করুন

আপনার ইমেল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না. প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করা হয়েছে *

সম্পর্কিত খবর