দুর্দান্ত এক মৌসুম পার করেছেন বার্সেলোনার তরুণ উইঙ্গার লামিনে ইয়ামাল। মাত্র ১৭ বছর বয়সেই গোল ও অ্যাসিস্টে তিনি হয়ে উঠেছেন বার্সার অন্যতম নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড়। যদিও চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের স্বপ্ন অধরাই থেকে গেছে, তবে মৌসুমের পারফরম্যান্সে তাঁর ব্যক্তিগত অর্জন অনন্য।মৌসুম শেষে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘এল পার্তিদাসো দে কোপে’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইয়ামাল বলেছেন নিজের পারফরম্যান্স, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এবং সম্ভাব্য রিয়াল মাদ্রিদে খেলা নিয়ে। সাক্ষাৎকারে সবচেয়ে আলোচ্য বিষয় ছিল—ভবিষ্যতে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলার সুযোগ থাকলে তিনি বিবেচনা করবেন কি না।ইয়ামালের সরাসরি জবাব, “আমার ক্যারিয়ারে কখনো রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলা অসম্ভব।”লা মাসিয়া থেকে উঠে আসা এই প্রতিভা বার্সার ‘বর্তমান’, শুধু ভবিষ্যৎ নয়।বার্সার যুব প্রশিক্ষণ একাডেমি ‘লা মাসিয়া’ থেকেই উঠে এসেছেন ইয়ামাল। বয়সে তরুণ হলেও দলের মূল একাদশে নিজের জায়গা পাকা করে নিয়েছেন। বার্সেলোনার প্রতি তাঁর ভালোবাসা এবং ক্লাবের সঙ্গে আবেগের সম্পর্ক রিয়াল মাদ্রিদের মতো
প্রতিদ্বন্দ্বী দলে খেলার চিন্তা করাকেও অসম্ভব করে তোলে।বার্সা-রিয়াল সম্পর্কের ইতিহাসও এই বিষয়টিকে জটিল করে তোলে। ২০০০ সালে লুইস ফিগো বার্সা থেকে রিয়ালে যাওয়ার পর সমর্থকদের মধ্যে যে প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিল, তা ফুটবল ইতিহাসে আলোচিত। ক্যাম্প ন্যুতে তাঁর দিকে ছুড়ে মারা হয়েছিল শূকরের কাটা মাথা। এমন ঘটনার পর ইয়ামালের মতো তরুণ তারকার পক্ষে এমন পদক্ষেপ নেওয়া কল্পনাও করা কঠিন।নতুন মৌসুমের লক্ষ্য ও বার্সার ভাবমূর্তি বদলাতে চান ইয়ামালনিজের লক্ষ্য নিয়ে ইয়ামাল বলেন, “আমি প্রতিবছর উন্নতি করতে চাই। আগামী মৌসুমে আরও বেশি গোল, আরও বেশি অ্যাসিস্ট করব। শারীরিকভাবে আরও শক্তিশালী হব।”শুধু নিজের উন্নতিই নয়, বার্সেলোনাকে ঘিরে সমর্থকদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতেও আগ্রহী তিনি। ইয়ামালের ভাষায়, “আমরা উন্নতি করছি। আমাদের নিজেদের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে যে আমরা সেরা। রিয়াল মাদ্রিদ যখন আর্সেনালের কাছে হারল, সবাই জানত তারা ঘুরে দাঁড়াবে। কিন্তু আমরা ইন্টারের সঙ্গে ড্র করলেই সবাই সন্দেহ শুরু করে। এই মানসিকতা বদলানো দরকার।”
মন্তব্য (০)