গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফায় এক ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ৩০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক একাধিক সূত্র। ‘গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন’ (জিএইচএফ) পরিচালিত এই ত্রাণকেন্দ্রটি লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হয় বলে দাবি করা হচ্ছে।হতাহতের সংখ্যা বাড়ছেফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ডব্লিউএএফএ জানিয়েছে, এ হামলায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১১৫ জন। তাদের অনেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন। তাই নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।ইসরায়েল জানায়নি কিছুইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ এখনো এ ঘটনায় আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি। হামলার দায় স্বীকার করা তো দূরে থাক, ঘটনাটি নিয়ে মুখও খোলেনি তারা। যদিও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ঘটনাটি ঘিরে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে।বিতর্কিত সংস্থা জিএইচএফউল্লেখযোগ্য যে, ‘জিএইচএফ’ একটি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবিক সংস্থা, যেটি ইসরায়েলি সমর্থনেও পরিচালিত হয়। সংস্থাটি সম্প্রতি গাজায় কার্যক্রম শুরু করেছে, তবে এর কার্যক্রম ঘিরে নানা বিতর্কও তৈরি হয়েছে।ফিলিস্তিনিদের অনেকে অভিযোগ ক
রেছেন, ত্রাণ প্রদানের নামে ইসরায়েল নতুনভাবে বায়োমেট্রিক যাচাই চালু করে নজরদারির চেষ্টা করছে। এতে গোপন তথ্য হাতিয়ে নেওয়া এবং ফিলিস্তিনি জনগণকে নিয়ন্ত্রণে আনার আশঙ্কা রয়েছে।আগেও হামলা, অস্বীকার করেছে সংস্থাটিএর আগে ২৮ মে একই সংস্থার একটি ত্রাণকেন্দ্রের আশপাশে ইসরায়েলি হামলায় তিনজন নিহত এবং ৪৬ জন আহত হন বলে দাবি করেছিল হামাস। তবে জিএইচএফ তখন সেই অভিযোগ নাকচ করে দেয়।সেনাবাহিনীর দাবি ও বাস্তবতাইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, ‘ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রে হাজারো মানুষের ভিড় হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বাহিরের এলাকায় সতর্কতামূলক গুলি চালানো হয়।’ কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, সেই ‘সতর্কতামূলক গুলিতেই’ ঝরে পড়ছে ফিলিস্তিনিদের প্রাণ।মানবিক সংকট আরও ঘনীভূতগাজা আগে থেকেই এক গভীর মানবিক সংকটের মুখে। যুদ্ধ, অবরোধ ও খাদ্যসংকটের মধ্যে এমন ত্রাণকেন্দ্রে হামলা শুধু মানবিকতাকেই লঙ্ঘন করে না, বরং সরাসরি বেসামরিক জনগণের ওপর আঘাত হানে। এই ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহল উদ্বেগ প্রকাশ করলেও, ইসরায়েলের দায় এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা চরম হতাশাজনক।
মন্তব্য (০)