ব্রেকিং নিউজ :

দৃষ্টিকোণ নিউজ একটি নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ অনলাইন সংবাদ মাধ্যম, যা সর্বশেষ সংবাদ ও বিশ্লেষণ প্রকাশ করে।

আমরা দেশের ও বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ খবর, রাজনীতি, অর্থনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর নির্ভরযোগ্য প্রতিবেদন প্রকাশ করি।

এনসিপি

৩ আগস্ট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠের প্রস্তুতিতে এনসিপি

৩ আগস্ট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠের প্রস্তুতিতে এনসিপি Image সংগৃহীত | ছবি: সংগৃহীত
ইমেইল :
৬৩

গত বছরের ৩ আগস্ট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত হয়েছিল একটি ঐতিহাসিক সমাবেশ, যেখানে ‘এক দফা, সরকার পতন’ স্লোগানে মুখর হয়েছিল চারপাশ। সেই ঘটনার বর্ষপূর্তিকে সামনে রেখে এবারও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) বড় জমায়েতের উদ্যোগ নিয়েছে।‘জুলাই অভ্যুত্থান’ স্মরণে দেশজুড়ে পদযাত্রাজুলাই গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তিতে এনসিপি সারা দেশে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি পালন করছে। ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন জেলায় এই পদযাত্রা ঘিরে পথসভা ও সমাবেশে জনগণের ব্যাপক সাড়া পাওয়া গেছে। পদযাত্রা চলবে ৩০ জুলাই পর্যন্ত, এরপর ৩ আগস্ট ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত হবে মূল সমাবেশ।ঘোষণাপত্র পাঠের প্রস্তুতি, রাজনৈতিক অঙ্গনে কৌতূহলএনসিপি সূত্রে জানা গেছে, ৩ আগস্টের সমাবেশে ছাত্র ও জনগণের পক্ষ থেকে 'জুলাই ঘোষণাপত্র' ও ইশতেহার পাঠ করা হবে। এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ইতিমধ্যেই ঘোষণা দিয়েছেন, সরকার যদি এই ঘোষণাপত্র দেয়ার প্রতিশ্রুতি রক্ষা না করে, তবে তাঁরা নিজেরাই তা প্রকাশ করবেন।গত ২৯ জুন একটি সংবাদ সম্মেলনে নাহিদ ইসলাম জানান, সরকার দুই দফায় জুলাই ঘোষণাপত্র দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। “আমরা এখন আর সরকারের ওপর নির্ভর করছি না,” বলেন তিনি।আন্দোলনে ফেরার হুঁশিয়ারিমাগুরায় এক সমাবেশে নাহিদ ইসলাম হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “৩ আগস্টের মধ্যে সরকার যদি ঘোষণাপত্র না দেয়, তাহলে আমরা আবারও মাঠে নামব।” এই বক্তব্যের পর রাজনৈতিক মহলে জোর আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে—কী আছে এই ঘোষণাপত্রে, যা নিয়ে এত আলোড়ন?

সরকারের খসড়া প্রস্তাব এবং বিরোধী মতসরকার ইতিমধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্রের একটি খসড়া কিছু রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠিয়েছে। পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদকে এ সংক্রান্ত কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সরকার চায়, ৫ আগস্টের মধ্যেই এই ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করা হোক।তবে বিএনপিসহ কয়েকটি দল ঘোষণাপত্রের পূর্ণাঙ্গ স্বীকৃতি দিতে রাজি নয়। তারা শুধু ‘জুলাই অভ্যুত্থান ২০২৪’ শিরোনামে বিষয়টিকে সংবিধানের চতুর্থ তফসিলে উল্লেখ করার পক্ষে।ঘোষণাপত্রে কী থাকতে চায় এনসিপি?এনসিপির শীর্ষ নেতারা মনে করেন, গত বছরের জুলাই মাসে যা ঘটেছে, তা ছিল ফ্যাসিবাদবিরোধী গণজাগরণ, সংবিধানবহির্ভূত কিছু নয়। ভবিষ্যতে যাতে এই ঘটনাকে ‘অসাংবিধানিক অভ্যুত্থান’ বলে অপব্যাখ্যা করা না হয়, সে জন্য সরকারিভাবে এর স্বীকৃতি প্রয়োজন।তাঁদের দাবি, “জুলাই ঘোষণাপত্রে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ, গণ-আন্দোলনের বৈধতা এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রয়োজনীয়তা স্পষ্ট করে উল্লেখ করতে হবে।” আর তা না হলে সংবিধানের সংশোধনের মাধ্যমে ভবিষ্যতে একে বৈধতা দেওয়ার পথ রাখা উচিত।সমাবেশ না প্রতিবাদ?এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব জানিয়েছেন, “৩ আগস্টের আগে যদি সরকার ঘোষণাপত্র প্রকাশ করে, তাহলে সমাবেশটি হবে অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির উৎসব। না হলে, সেটি হবে প্রতিরোধের জমায়েত।” এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন স্পষ্ট করে বলেছেন, “আমরা চাই সরকারই এই ঘোষণা দিক, কিন্তু না দিলে আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তা প্রকাশ করব।”

সম্পর্কিত ট্যাগ :

মন্তব্য (০)

মন্তব্য করুন

আপনার ইমেল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না. প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করা হয়েছে *

সম্পর্কিত খবর