আইপিএল ম্যাচে ঘটে গেল এমন এক চমকপ্রদ ঘটনা, যা ক্রিকেটপ্রেমীদের কৌতূহল বাড়িয়ে দিয়েছে। লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের স্পিনার দিগ্বেশ রাঠী ডেলিভারির ঠিক আগে থেমে গিয়ে স্টাম্প ভাঙেন, তখন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ব্যাটসম্যান জিতেশ শর্মা ক্রিজের বাইরে অবস্থান করছিলেন। স্বাভাবিক ভাবেই এই পরিস্থিতিতে জিতেশের রান আউট হওয়ার কথা। তবে আশ্চর্যজনকভাবে, টিভি আম্পায়ার উলহাস গান্ধে জিতেশকে নট আউট ঘোষণা করেন।কেন আউট হলেন না জিতেশ?আইপিএলের প্লেয়িং কন্ডিশন ৩৮.৩.
১ অনুযায়ী, বোলার যখন বল ছাড়েননি, তখন যদি নন-স্ট্রাইকার ক্রিজের বাইরে থাকে, তখন বোলার তাকে রান আউট করতে পারেন। অর্থাৎ, বল ছুড়ে উইকেট ভাঙলেই ওই ব্যাটসম্যান আউট বলে গণ্য হবে। কিন্তু এই ঘটনার সময় রাঠী ইতোমধ্যে বোলিং অ্যাকশন সম্পন্ন করেই ছিলেন। অর্থাৎ তিনি বল ছাড়ার অবস্থায় পৌঁছে গিয়েছিলেন। এই কারণেই মানকাডিং করার চেষ্টা ব্যর্থ হয় এবং জিতেশ নট আউট ঘোষণা হন।অধিনায়কের আপিল ও ম্যাচের পরিস্থিতিঘটনার সময় লক্ষ্ণৌ অধিনায়ক ঋষভ পন্ত আপিল তুলে নিয়েছেন এবং পরিস্থিতি নিয়ে শান্ত মনোভাব বজায় রেখেছেন। জিতেশ শর্মার সঙ্গে আলিঙ্গন করে তিনি এক সুসম্পর্কের পরিচয় দিয়েছেন। পন্ত জানান, যদি তৃতীয় আম্পায়ার তাঁকে আউট ঘোষণার সিদ্ধান্ত দিতেন, তবুও তিনি আপিল তুলে নিতেন। আইনের আওতায় অধিনায়ক এই ধরনের আপিল করার অধিকার রাখেন।ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত ও ফলাফলঘটনাটি ঘটেছে ম্যাচের ১৭তম ওভারে। এই ওভারের প্রথম বলেই রাঠীর বলে জিতেশ আউট হয়েছিলেন, তবে তা নো-বল হওয়ায় তিনি বেঁচে যান। এরপর তাঁর ৮৫ রানের দারুণ ইনিংসে বেঙ্গালুরু দল ২২৮ রানের লক্ষ্য সফলভাবে পূরণ করে কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত করে। পরবর্তী ম্যাচে তারা পাঞ্জাব কিংসের মুখোমুখি হবে ২৯ মে।সংক্ষেপে: বোলার রাঠী মানকাডিংয়ের চেষ্টা করলেও, জিতেশ শর্মা নট আউট হন কারণ বোলিং অ্যাকশন সম্পন্ন হয়েছিল। অধিনায়ক ঋষভ পন্ত আপিল তুলে নেন এবং পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ রাখেন। জিতেশ ৮৫ রানের ইনিংস খেলেন এবং বেঙ্গালুরু কোয়ালিফায়ার করেন।
মন্তব্য (০)