ব্রেকিং নিউজ :

দৃষ্টিকোণ নিউজ একটি নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ অনলাইন সংবাদ মাধ্যম, যা সর্বশেষ সংবাদ ও বিশ্লেষণ প্রকাশ করে।

আমরা দেশের ও বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ খবর, রাজনীতি, অর্থনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর নির্ভরযোগ্য প্রতিবেদন প্রকাশ করি।

জেলা

নতুন ব্যতিক্রমী উদ্যোগ: নীলফামারীর সৈয়দপুরে প্রথমবারের মতো গড়ে উঠলো মরুর প্রাণী ‘দুম্বা’ খামার

নতুন ব্যতিক্রমী উদ্যোগ: নীলফামারীর সৈয়দপুরে প্রথমবারের মতো গড়ে উঠলো মরুর প্রাণী ‘দুম্বা’ খামার Image সংগৃহীত | ছবি: সংগৃহীত
ইমেইল :
২৭

নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় একটি অনন্য ও দৃষ্টিনন্দন খামার শুরু হয়েছে যেখানে মরুভূমির আদর্শ প্রাণী দুম্বা গবাদি পশু পালন করা হচ্ছে। বোতলাগাড়ি ইউনিয়নের কাথারিপাড়া গ্রামে অবস্থিত এই খামারটি দেশের মধ্যে একদমই অনন্য। আসন্ন পবিত্র কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে এই দুম্বাগুলোর চাহিদা বৃদ্ধি পাবে বলে খামারের মালিক আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। ইতোমধ্যে একটিরও বেশি দুম্বা বিক্রি সম্পন্ন হয়েছে।রবিউল ইসলাম নামে কাথারিপাড়া গ্রামের এক উদ্যোক্তার হাত ধরে ২০২২ সালে গড়ে ওঠা এই খামারে এখন মোট ২৬টি দুম্বা রয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগ দুম্বার রঙ সাদা, এবং ওজন ৫০ থেকে ১০০ কেজির মধ্যে। ইতোমধ্যে ৯০ হাজার টাকায় একটি দুম্বা বিক্রি হয়েছে সৈয়দপুরের একজন ব্যবসায়ীর কাছে। এছাড়া, রাজধানী ঢাকার পক্ষ থেকে আরও পাঁচটি দুম্বার বিক্রির অর্ডার পাওয়া গেছে। ঈদের আগেই বাকি দুম্বাগুলোও কোরবানির হাটে বিক্রি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।খামারের পরিবেশে দুপুরের পর দুম্বাগুলোকে পাশের মাঠে নিয়ে গিয়ে ঘাস খাওয়ানো হয়। এখানকার দর্শনার্থী ও স্থানীয় জনতা দুম্বাগুলো দেখতে আসে, যার মধ্যে সৈয়দপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী শায়লা খাতুন অন্যতম। তিনি জানান, মরুর এই প্রাণী কীভাবে বাংলাদেশের আবহাওয়ায় টিকে রয়েছে তা দেখতে তিনি আগ্রহী, এবং এবারের ঈদে পরিবারের জন্য দুম্বা কোরবানি দিতে চান।রবিউল ইসলাম জানান, তাঁর ছোট ভাই রেজাউল ইসলাম, যিনি সৌদি আরবে থাকেন, ২০২২ সালে দেশে ফিরে দুম্বাগুলো আনার প্রথম উদ্যোগ নেন। শুরুতে এই প্রাণীগুলো বাংলাদেশের আর্দ্র ও বর্ষাকালীন আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খেতে বেশ সমস্যায় পড়লেও ধীরে ধীরে তারা ন

তুন পরিবেশে মানিয়ে নিয়েছে। প্রথমদিকে দুম্বাগুলো বেশ চেঁচামেচি করত, তবে এখন তারা শান্তিপূর্ণ। মূলত কচি ঘাস, ভুট্টার ভুসি ও চোকার ওপর তাদের খাদ্যাভাস নির্ভরশীল, যা কম পানির মাধ্যমে তারা সহজেই টিকতে পারে।স্থানীয় ক্রেতারা এই দুম্বার প্রতি ব্যাপক আগ্রহ দেখাচ্ছেন। প্রতিটি দুম্বার দাম এক থেকে দেড় লাখ টাকার মধ্যে হতে পারে। খামারের সফলতায় অনুপ্রাণিত হয়ে রবিউলের প্রতিবেশী ও কলেজশিক্ষার্থী জহুরুল ইসলামও নিজে দুম্বা পালন করার পরিকল্পনা করছেন। তিনি জানিয়েছেন, প্রতিদিন খামারটি দেখে নিজে অভিজ্ঞতা লাভ করছেন এবং রবিউল ভাই তার সহযোগিতায় এগিয়ে আসছেন।নীলফামারীর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেছেন, সৈয়দপুরের এই দুম্বার খামারটি দেখতে গিয়েছিলেন তিনি এবং এটি একটি ভালো উদ্যোগ হিসেবে বিবেচিত। তিনি আরও জানান, তুর্কি জাতের এই দুম্বাগুলো এলাকায় ইতিমধ্যে ভালো সাড়া ফেলেছে এবং খামারিকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হবে।সৈয়দপুরে গড়ে ওঠা এই মরুর প্রাণী দুম্বার খামারটি পুরো অঞ্চলেই একটি নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, যা কোরবানির ঈদে স্থানীয় এবং দেশের অন্যান্য স্থান থেকে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।সংক্ষেপে: সৈয়দপুরের কাথারিপাড়ায় মরু জাতের ২৬টি দুম্বার খামার চলছে। ইতোমধ্যে একটির বেশি দুম্বা বিক্রি হয়েছে, ঢাকার পক্ষ থেকে আরও অর্ডার আসছে। দুম্বাগুলো কম পানির চাহিদায় টিকে থাকে এবং প্রধানত কচি ঘাস ও ভুসি খায়। স্থানীয় তরুণরা এই খামারের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করছে। জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ খামারিকে সহযোগিতা দেবে।

সম্পর্কিত ট্যাগ :

মন্তব্য (০)

মন্তব্য করুন

আপনার ইমেল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না. প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করা হয়েছে *

সম্পর্কিত খবর