ব্রেকিং নিউজ :

দৃষ্টিকোণ নিউজ একটি নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ অনলাইন সংবাদ মাধ্যম, যা সর্বশেষ সংবাদ ও বিশ্লেষণ প্রকাশ করে।

আমরা দেশের ও বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ খবর, রাজনীতি, অর্থনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর নির্ভরযোগ্য প্রতিবেদন প্রকাশ করি।

বাংলাদেশ

জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের এক বছর: গুলি–গ্রেপ্তারের মাঝেই এলো কোটার রায়

জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের এক বছর: গুলি–গ্রেপ্তারের মাঝেই এলো কোটার রায় Image সংগৃহীত | ছবি: সংগৃহীত
ইমেইল :

২০২৪ সালের জুলাইয়ে সংঘটিত ঐতিহাসিক গণ–অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তিতে ফের আলোচনায় এসেছে সেই সময়ের রক্তাক্ত স্মৃতি। যখন ছাত্র–জনতার রাস্তায় নামা দাবানলে পরিণত হয়েছিল, ঠিক তখনই সরকার একপাক্ষিকভাবে কোটা সংস্কার নিয়ে রায় এনে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছিল।২১ জুলাই, যখন দেশের সর্বত্র থমথমে অবস্থা, সেই দিনে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ রায় দেন—সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে ৯৩ শতাংশ পদে মেধার ভিত্তিতে এবং ৭ শতাংশ কোটার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে। আদালত নির্বাহী বিভাগকে এই নির্দেশনার আলোকে প্রজ্ঞাপন জারির নির্দেশও দেন।কিন্তু সেই রায় কোনোভাবেই মানুষের ক্ষোভ প্রশমিত করতে পারেনি। কারণ, ততক্ষণে আন্দোলন ছিল আর কেবল কোটা সংস্কারের জন্য নয়, ছিল রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে। ১৬ থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত সংঘটিত সহিংসতা ও গুম-নির্যাতনের ঘটনাগুলোই হয়ে উঠেছিল প্রধান আলোচ্য বিষয়।১৯ জুলাই মধ্যরাতে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার সারা দেশে কারফিউ জারি করে। পরদিন দেশজুড়ে চলতে থাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিবর্ষণ ও গণগ্রেপ্তার। শুধুমাত্র ১৯ জুলাই ১৭৭ জন নিহত হন এবং ২০ জুলাই আরও ৬৫ জন প্রাণ হারান পুলিশের গুলিতে।এই প্রেক্ষাপটে ২১ জুলাইয়ের কোটার রায় সম্পর্কে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা বলে

ন, এটি ছিল একটি 'শেষ চেষ্টা'—আন্দোলন থামাতে একটি কৌশলী রায়। কিন্তু জনগণের চোখে তখন রক্ত লেগে থাকা সরকারের প্রতি ঘৃণা আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে।সেদিন সকালেই ঢাকার পূর্বাচল এলাকায় রাস্তার পাশে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায় আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক মো. নাহিদ ইসলামকে, যিনি বর্তমানে জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক। এর আগে ১৯ জুলাই মধ্যরাতে তাঁকে খিলগাঁওয়ের নন্দীপাড়া থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে গোয়েন্দা সংস্থার হেফাজতে তাঁকে নির্মম নির্যাতনের শিকার হতে হয়।লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য আকরাম হুসাইন জানান, ১৬ জুলাই থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত দেশজুড়ে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চালিয়েও সরকার জনগণের প্রতিরোধ স্তিমিত করতে ব্যর্থ হয়। তখনো ‘এক দফা’ আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষিত না হলেও, ছাত্র আন্দোলনে একে একে যুক্ত হয় শ্রমিক, কৃষক ও সাধারণ মানুষ।তিনি বলেন, “শেখ হাসিনার পতনের দাবিতে সবাই রাজপথে নেমে এসেছিল। আদালতের রায় এনে শেষ রক্ষা করতে চেয়েছিল সরকার। কিন্তু তত দিনে তাঁদের হাতে লেগে গেছে রক্ত। তখন আন্দোলনের স্লোগান ছিল—‘তোর কোটা তুই নে, আমার ভাইরে ফিরায়ে দে।’” এই ইতিহাসের বর্ষপূর্তিতে স্পষ্ট হয়, শুধুমাত্র নীতিগত সিদ্ধান্ত নয়, জনআন্দোলনের মূল চেতনা ছিল গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারের জন্য জীবন দেওয়া শহীদদের প্রতি দায়বদ্ধতা।

সম্পর্কিত ট্যাগ :

মন্তব্য (০)

মন্তব্য করুন

আপনার ইমেল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না. প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করা হয়েছে *

সম্পর্কিত খবর