পিএসএল ২০২৫ এর দশম আসরে পাকিস্তান অবস্থানকালে রিশাদ হোসেন এবং নাহিদ রানা ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হন। পাকিস্তানে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার কারণে হামলা-পাল্টা হামলা শুরু হয়, যার মধ্যে রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামে ড্রোন হামলা পর্যন্ত হয়। বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে নিরাপত্তার শঙ্কা দেখা দেয় এবং পিএসএল শেষে টুর্নামেন্টটি দুবাই স্থানান্তরিত হয়। বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে আতঙ্করিশাদ হোসেন এবং তার সহকর্মীরা পাকিস্তান ছাড়ার মুহূর্তেও নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত ছিলেন। রিশাদ হোসেন গণমাধ্যমে জানান, "ফ্লাইটে থাকা অবস্থায় দুবাই পৌঁছানোর পর যখন জানলাম যে পাকিস্তান ছাড়ার পর ঐ এয়ারপোর্টে হামলা হয়েছে, তখন একটু ভয় অনুভব করেছিলাম।" হামলা-পাল্টা হামলা এবং ড্রোন হামলাপাকিস্তানের নূর খান বিমানঘাঁটিসহ তিনটি বিমানঘাঁটিতে ভারত ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর চেষ্টা করেছিল। তবে, পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এটি প্রতিহত করতে সক্ষম হয়। রিশাদ এবং অন্যান্য বিদেশি ক্রিকেটাররা পরিস্থিতির ভয়াবহতা দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। বিদেশি ক্রিকেটারদের প্রতিক্রিয়াপাকিস্তানে অ
বস্থানকালে ড্যারিল মিচেল, টম কারান, স্যাম বিলিংস, এবং কুশল পেরেরাসহ অন্যান্য বিদেশি ক্রিকেটাররা নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত ছিলেন। রিশাদ বলেন, "ড্যারিল মিচেল বলেছেন, 'আমি আর পাকিস্তান আসব না, এই পরিস্থিতিতে তো কখনোই না।'" পিসিবি এবং বিদেশি ক্রিকেটারদের সহযোগিতাপিসিবি প্রেসিডেন্ট মহসিন নাকভি বিশেষ বৈঠক করে ক্রিকেটারদের মানসিক অবস্থার ব্যাপারে আলোচনা করেন এবং দুবাই চলে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। পরবর্তীতে, পিসিবি ক্রিকেটারদের নিরাপত্তার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে, যার ফলে বিদেশি ক্রিকেটাররা দুবাই হয়ে দেশে ফিরতে সক্ষম হন। উপসংহারপাকিস্তান সফরে রিশাদ হোসেন এবং অন্যান্য বিদেশি ক্রিকেটারদের জন্য পরিস্থিতি ছিল খুবই আতঙ্কজনক। তবে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পিসিবি দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে। পাকিস্তানে ক্রিকেট খেলা চললেও বিদেশি ক্রিকেটারদের নিরাপত্তার বিষয়টি বড় ধরনের প্রশ্ন হয়ে উঠেছে।রিশাদ হোসেন ও অন্যান্য বিদেশি ক্রিকেটারের পাকিস্তান সফরের অভিজ্ঞতা ছিল অত্যন্ত ভয়াবহ। পিসিবি পরিস্থিতি সামলাতে চেষ্টা করেছে, কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসা কঠিন ছিল।
মন্তব্য (০)