আন্তর্বর্তী সরকারের নির্দেশে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সকল কার্যক্রম সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, কারণ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দলটির নেতাদের বিচার এখনো সম্পন্ন হয়নি। এই নিষেধাজ্ঞার পর দেশজুড়ে বিশৃঙ্খলার পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন যুব ও ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।শনিবার মধ্যরাতে নিজের ফেসবুক পেইজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লেখেন, "বিচারিক প্রক্রিয়ায় চূড়ান্তভাবে নিষিদ্ধ হওয়াই অধিকতর গ্রহণযোগ্য ও স্থায়ী বন্দোবস্ত।" তিনি জানান, ছাত্র-জনতার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করা হয়েছে এবং প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, নিষিদ্ধ ঘোষণার পর গণহত্যাকারীরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে চাচ্ছে।"সকলকে সতর্ক ও সজাগ থাকার আহ্বান জানাচ্ছি,"—উল্লেখ করেন তিনি।এর আগে শনিবার রাত ৮টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এক জরুরি বৈঠকে বসে উপদেষ্টা পরিষদ। সভায় তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, যার ম

ধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল আওয়ামী লীগের সব ধরনের কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা। সভায় সভাপতিত্ব করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।রাত ১১টার দিকে সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন উপদেষ্টারা। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল জানান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে সংশোধনী অনুমোদন করা হয়েছে, যার ফলে এখন থেকে যে কোনো রাজনৈতিক দল, অঙ্গসংগঠন বা সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীকে শাস্তির আওতায় আনা সম্ভব হবে।তিনি আরও বলেন, "বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং তাদের নেতাদের বিচার সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত, দেশের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় রেখে, সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে।"তিনি জানান, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরিপত্র আগামী কর্মদিবসে জারি করা হবে। পাশাপাশি উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে চূড়ান্ত করে প্রকাশ করা হবে।