পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল)–এ প্রথমবার অংশ নিয়েই আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছেন বাংলাদেশের তরুণ লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। টুর্নামেন্ট এখনো শেষ হয়নি, তবে এখন পর্যন্ত তার পারফরম্যান্স দেখে ক্রিকেটপ্রেমীরা তাকে সহজেই ‘এ’ গ্রেড দিতে রাজি হবেন।রিশাদের পারফরম্যান্স: রিশাদ এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচে নিয়েছেন ১২টি উইকেট, যা একজন লেগ স্পিনারের জন্য দুর্দান্ত শুরু। ওভারপ্রতি রান খরচ করেছেন ৯.
১০, যা কিছুটা বেশি হলেও লেগ স্পিনারদের ক্ষেত্রে সেটি অস্বাভাবিক নয়। কারণ, তারা মূলত উইকেট নেওয়ার দায়িত্বে থাকেন, এবং সেই দায়িত্বটাই যথাযথভাবে পালন করেছেন রিশাদ।গতকালকের পারফরম্যান্স: শেষ ম্যাচে রিশাদ ৩ ওভারে ৩৪ রান দিলেও তুলে নিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ তিনটি উইকেট— শাদাব খান, সালমান আগা ও জিমি নিশাম। যারা ইসলামাবাদের ব্যাটিং লাইনআপের মূল স্তম্ভ ছিলেন।স্বপ্নের শুরু: নিজের প্রথম দুই ম্যাচেই নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট, তাও বেশ কম খরচে। প্রথম ম্যাচ: ৩১ রান দিয়ে ৩ উইকেট দ্বিতীয় ম্যাচ: ২৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট পরের ম্যাচে মুলতানের বিপক্ষে ৪৫ রানে ২ উইকেট, এরপর এক ম্যাচে উইকেটশূন্য থাকায় দল থেকে বাদ পড়েন।বাধা আর প্রত্যাবর্তন: মাঝে তিনটি ম্যাচে বসিয়ে রেখেছিল লাহোর। ফেরার পর নেন ২৮ রানে ১ উইকেট। এরপর ভারত–পাকিস্তান দ্বন্দ্ব ও আরব আমিরাত সিরিজের কারণে দীর্ঘ বিরতি পড়ে যায়। এলিমিনেটরের আগেও বেঞ্চে বসেছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত নিজেকে প্রমাণ করে দলের ফাইনালে যাওয়ার পথে বড় ভূমিকা রেখেছেন। তবে ব্যাটিংয়ে ঘাটতি: রিশাদের ব্যাটিং এখনো উন্নতির জায়গা। ৬ ম্যাচে করেছেন মাত্র ২৩ রান। স্ট্রাইক রেট: ১০০-এর নিচে অথচ জাতীয় দলে তার স্ট্রাইক রেট ১৩৪.১৮ ছিল, যা একজন অলরাউন্ডার হিসেবে বেমানানই বটে। রিশাদের জন্য ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা উজ্জ্বলপিএসএল–এর মতো আন্তর্জাতিক মানের টুর্নামেন্টে নিজের প্রথম অভিজ্ঞতায় রিশাদ হোসেন যেমন আত্মবিশ্বাসী পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন, তেমনি নিজেকে ভবিষ্যতের বড় সম্পদ হিসেবে উপস্থাপন করেছেন।একটা ম্যাচে ব্যর্থতায় বাদ পড়েও ফিরে এসে পারফর্ম করা রিশাদের মানসিক দৃঢ়তা প্রমাণ করে, তার জায়গা আন্তর্জাতিক মঞ্চেই।সারসংক্ষেপে: ম্যাচ: ৬ উইকেট: ১২ ইকোনমি রেট: ৯.১০ সেরা পারফরম্যান্স: ৩ ওভারে ৩ উইকেট ব্যাটিং রান: ২৩ গ্রেড: 'A' দেশের লেগ স্পিন আক্রমণে দীর্ঘদিনের ঘাটতি পূরণ করতে পারেন রিশাদ। শুধু বল হাতে নয়, ব্যাট হাতেও তার উন্নতি এখন সময়ের দাবি।
মন্তব্য (০)