ব্রেকিং নিউজ :

দৃষ্টিকোণ নিউজ একটি নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ অনলাইন সংবাদ মাধ্যম, যা সর্বশেষ সংবাদ ও বিশ্লেষণ প্রকাশ করে।

আমরা দেশের ও বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ খবর, রাজনীতি, অর্থনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর নির্ভরযোগ্য প্রতিবেদন প্রকাশ করি।

জামায়াত

সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করলে দেশ গভীর সংকটে পড়বে: জামায়াতের আমির শফিকুর রহমানের সতর্কবার্তা

সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করলে দেশ গভীর সংকটে পড়বে: জামায়াতের আমির শফিকুর রহমানের সতর্কবার্তা Image সংগৃহীত | ছবি: সংগৃহীত
ইমেইল :
২৭

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ড.

শফিকুর রহমান বলেছেন, “সেনাবাহিনী আমাদের গর্বের প্রতীক। এই প্রতিষ্ঠানকে কোনোভাবে বিতর্কিত করলে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ বড় ধরনের ঝুঁকির মুখে পড়বে।”আজ শনিবার রাজধানীর মগবাজারের আল ফালাহ মিলনায়তনে জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার বৈঠকে তিনি এই মন্তব্য করেন।তিনি জোর দিয়ে বলেন, “কারো কার্যক্রম বা বক্তব্যে যেন সেনাবাহিনীর মতো মর্যাদাপূর্ণ প্রতিষ্ঠানকে বিতর্কের মধ্যে না ফেলা হয়। আমাদের উচিত, সেনাবাহিনীকে নিয়ে অপ্রয়োজনীয় মন্তব্য এড়িয়ে চলা।”জাতীয় পরিস্থিতি প্রসঙ্গে জামায়াত আমির বলেন, “বর্তমানে বাংলাদেশ একটি বিশেষ ও সংবেদনশীল সময় পার করছে। এমন সময়ে সংঘাত ও কাদা ছোড়াছুড়ির রাজনীতি জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী। এর বদলে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে একটি সর্বদলীয় সংলাপ আয়োজন জরুরি।”তিনি আরও বলেন, “যে কোনো জটিল সমস্যার সমাধান আলোচনার মাধ্যমেই সম্ভব। তাই আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি, যেন দ্রুত একটি সর্বদলীয় বৈঠকের উদ্যোগ নেওয়া হয়।”নির্বাচন এবং সংস্কার প্রসঙ্গে জামায়াত আমির বলেন, “সংস্কার ও নির্বাচনের বিষয়ে একটি স্পষ্ট রূপরেখা এবং রোডম্যাপের দাবি আমরা দীর্ঘদিন ধরেই জানিয়ে আসছি। কিন্তু এখনো তা জনগণের সামনে উপস্থাপন করা হয়নি। সরকার যদি এই দুই বিষয়ে স্বচ্ছ পরিকল্পনা প্রকাশ করে, তাহলে জনগণের আস্থা ফিরতে পারে।”মানবিক করিডর এবং চট্টগ্রাম বন্দরের মতো স্পর্শকাতর ইস্যুতে হঠাৎ সিদ্ধান্ত না নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, “মানবিক করিডরের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত, অথবা বিষয়টি পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের ওপর ছেড়ে দেওয়া শ্রেয়।”তিনি আরও বলেন, “চট্টগ্রাম বন্দর দেশের ৭০ শতাংশ বৈদেশিক বাণিজ্যের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। এই বন্দরের ভবিষ্যৎ ব্যবস্থাপনায় হঠাৎ কোনো সিদ্ধান্ত বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। এ বিষয়ে সুপরিকল্পিত, অংশীজনদের সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি।”জাতীয় নির্বাচন নিয়ে জামায়াত আমির বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা যে সময়সূচি দিয়েছেন, জামায়াতে ইসলামী তা শুরু থেকেই মেনে এসেছে এবং সবসময় সহযোগিতা করে আসছে। আমরা চাই অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোও সহযোগিতার মানসিকতা নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের পাশে দাঁড়াক।” বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলটির কেন্দ্রীয় সিনিয়র নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান, নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান।

সম্পর্কিত ট্যাগ :

মন্তব্য (০)

মন্তব্য করুন

আপনার ইমেল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না. প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করা হয়েছে *

সম্পর্কিত খবর