ব্রেকিং নিউজ :

দৃষ্টিকোণ নিউজ একটি নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ অনলাইন সংবাদ মাধ্যম, যা সর্বশেষ সংবাদ ও বিশ্লেষণ প্রকাশ করে।

আমরা দেশের ও বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ খবর, রাজনীতি, অর্থনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর নির্ভরযোগ্য প্রতিবেদন প্রকাশ করি।

জেলা

গাজীপুরে বেতন পরিশোধ না করেই কারখানা বন্ধ, বিক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে সহস্রাধিক শ্রমিক

গাজীপুরে বেতন পরিশোধ না করেই কারখানা বন্ধ, বিক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে সহস্রাধিক শ্রমিক Image গাজীপুরে কারখানা সামনে আন্দোলন করছেন শ্রমিকরা | ছবি: সংগৃহীত
ইমেইল :
২৯

গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতন পরিশোধ না করেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এম কে ফুটওয়্যার লিমিটেড কারখানা। এতে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন শ্রমিকরা। আজ শনিবার সকাল আটটা থেকেই মাওনা ইউনিয়নের চকপাড়া এলাকায় কারখানার সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা।প্রায় এক হাজার শ্রমিক কারখানার ফটকে অবস্থান নিয়ে বকেয়া বেতনের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। ঘটনাস্থলে রয়েছে শিল্প পুলিশ ও শ্রীপুর থানা-পুলিশের সদস্যরা, তবে এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।শ্রমিকদের ভাষ্য অনুযায়ী, ১০ দিনের ছুটি শেষে আজ শনিবার কারখানা চালু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সকালে কাজে যোগ দিতে গিয়ে তাঁরা জানতে পারেন, ছুটি বাড়ানো হয়েছে। এর মধ্যে এপ্রিল ও চলতি মে মাসের বেতনও পরিশোধ করা হয়নি, যা শ্রমিকদের ক্ষোভ আরও বাড়িয়ে তোলে।একপর্যায়ে শ্রমিকেরা কারখানার ভেতরে ঢুকে পড়লেও প্রশাসনিক পর্যায়ের কাউকেই সেখানে পাওয়া যায়নি। ফলে তাঁরা বাইরে অবস্থান নিয়ে ‘বকেয়া বেতন চাই’ দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যেতে থাকেন।এম কে ফুটওয়্যার লিমিটেডের শ্রমিক মনির হোসেন বলেন, “গত মাস এবং এই মাসের বেতন না পাওয়ায় এক হাজারের বেশি শ্রমিক চরম আর্থিক সংকটে পড়েছেন। সামনে ঈদ,

এ অবস্থায় বেতন না পেলে আমাদের পরিবার চলবে কীভাবে?” তিনি আরও বলেন, “১০ দিনের ছুটি মেনে নিয়েছি, কিন্তু এখন আবার ছুটি বাড়ানো মানে আমাদের ভোগান্তি বাড়ানো।”আরেক শ্রমিক মো. আল আমিন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “মালিকপক্ষ বলছে, বিদ্যুৎ বিল দিতে না পারায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে বিদ্যুৎ অফিস। কিন্তু শ্রমিকেরা তো টাকার অভাবে অন্ধকারে পড়ে যাচ্ছে! টাকা ছাড়া সংসার চলবে কীভাবে?”এ বিষয়ে কারখানার মানবসম্পদ বিভাগের ব্যবস্থাপক মো. সুমন জানান, “সোমবার পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে কারখানা চালু হবে বলে জানানো হয়েছে। আমরা নিজেরাও কর্মচারী, মালিকপক্ষের সিদ্ধান্তের ওপরই নির্ভর করছি।”শিল্প পুলিশের শ্রীপুর সাবজোন ইনচার্জ মো. আবদুল লতিফ বলেন, “শ্রমিকেরা এপ্রিল মাসের বেতন পাননি, এ তথ্য আমরা নিশ্চিত হয়েছি। বিদ্যুৎ বিল বাকি থাকায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার বিষয়টিও জানা গেছে। পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন আমাদের গোয়েন্দা সদস্যরা।”কারখানা বন্ধ ও বেতন বকেয়ার এ ঘটনা শ্রমিকদের পরিবারে চরম অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে। ঈদের আগে এই সংকট সমাধানে মালিকপক্ষ ও প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ দাবি করছেন শ্রমিকেরা।

সম্পর্কিত ট্যাগ :

মন্তব্য (০)

মন্তব্য করুন

আপনার ইমেল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না. প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করা হয়েছে *

সম্পর্কিত খবর