দীর্ঘ বিরতি, কমে আসা ধার—সাকিব আল হাসান কি এবারও একাদশে জায়গা করে নিতে পারবেন? এমন প্রশ্ন উঠেছে এবারের পিএসএল ঘিরে।বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা অলরাউন্ডার হয়তো এখনও সক্রিয়, কিন্তু ছয় মাসেরও বেশি সময় প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ না খেলায় সাকিবের ফর্ম ও ফিটনেস এখন বড় প্রশ্নচিহ্নের মুখে। চোখের সমস্যাও তাঁর ব্যাটিংয়ে সমস্যা তৈরি করেছে বেশ আগে থেকেই। আর সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই পারফরম্যান্সেও পড়েছে স্পষ্ট ছাপ।জরুরি মুহূর্তে সাকিব, কেন?এবারের পিএসএলে লাহোর কালান্দার্স এক প্রকার ‘বাধ্য হয়েই’ দলে নিয়েছে সাকিবকে। গুরুত্বপূর্ণ এক ম্যাচ—অলিখিত কোয়ার্টার ফাইনাল—যেখানে হার মানেই টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়া। এই অবস্থায় সাকিবকে নেওয়ার সিদ্ধান্ত অবাক করলেও, পেছনে কিছু যৌক্তিক কারণও আছে।দলের মূল খেলোয়াড়দের অনুপস্থিতিই সাকিবের জন্য সুযোগ তৈরি করেছে:ডেভিড ভিসা ও স্যাম বিলিংস ছিটকে গেছেন ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার কারণে।ড্যারিল মিচেল আছেন চোটে।রিশাদ হোসেন নেই এই ম্যাচে।প্লে-অফে উঠলে সিকান্দার রাজাও থাকবেন না, কারণ তাঁর জিম্বাব
ুয়ে টেস্ট সিরিজ।এসব মিলিয়েই অভিজ্ঞ বিকল্প হিসেবে সাকিবকে দলে নিয়েছে লাহোর।একাদশে জায়গা পাওয়ার লড়াইলাহোর স্কোয়াডে এখন বিদেশি খেলোয়াড় হিসেবে আছেন:সিকান্দার রাজাটম কারেনভানুকা রাজাপক্ষেকুশল পেরেরাসাকিব আল হাসানবিদেশি কোটায় একাদশে সর্বোচ্চ চারজন খেলতে পারেন। রাজা নিশ্চিতভাবেই থাকবেন। বাকি তিন জায়গার জন্য লড়াই হবে সাকিব, কারেন, রাজাপক্ষে ও কুশলের মধ্যে।সাকিবের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আছেন আসিফ আফ্রিদি, বাঁহাতি স্পিনার, যিনি ৯ ম্যাচে ৭ উইকেট নিয়েছেন ওভারপ্রতি ৭.৪১ ইকোনমিতে। প্রশ্ন হচ্ছে, লাহোর কি একাদশে দুই বাঁহাতি স্পিনার খেলাবে? উত্তরটা এখনই নিশ্চিত নয়।অভিজ্ঞতা বনাম বর্তমান ফর্মঅভিজ্ঞতার দিক দিয়ে সাকিব সবার ওপরে। তবে সাম্প্রতিক ফর্ম ও ম্যাচ ফিটনেসে রয়েছেন সবার নিচে। একাদশে জায়গা পাওয়াটা নির্ভর করছে দলের কৌশলগত চাহিদা ও সাহসী সিদ্ধান্তের উপর।সাকিবের জন্য এটা হতে পারে ফিরে আসার একটা সুযোগ, আবার হতে পারে কোচিং স্টাফের আস্থা হারানোর কারণও। এখন দেখার বিষয়, সাকিব আল হাসান পারবেন কি না পুরোনো ‘সাকিব’ হয়ে ফিরতে?
মন্তব্য (০)