দীর্ঘ দেড় মাসের চোট কাটিয়ে আজ মাঠে ফিরেছিলেন ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার। প্রতিপক্ষ ছিল বোতাফোগো, ম্যাচটি ছিল ব্রাজিলিয়ান লিগ সিরি ‘আ’-তে। কিন্তু প্রত্যাবর্তনটা আশানুরূপ হলো না মোটেও। হাত দিয়ে গোল করার চেষ্টা করায় রেফারির কাছ থেকে লাল কার্ড দেখতে হয়েছে তাঁকে। শুধু তাই নয়, তাঁর দল সান্তোসও ম্যাচে হেরে গেছে ১-০ গোলে।চোট থেকে ফিরে রাঙাতে চেয়েছিলেন, উল্টো বিতর্কের জন্ম দিলেন নেইমারগত ১৭ এপ্রিল ইনজুরিতে পড়েন নেইমার। প্রায় দেড় মাস পর ফিরেই দলের হয়ে পারফর্ম করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু ম্যাচের প্রথমার্ধেই এক ফাউলের কারণে প্রথম হলুদ কার্ড দেখে বসেন তিনি। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে ঘটে মূল বিতর্কিত ঘটনাটি।৭৬তম মিনিটে সান্তোসের এক আক্রমণে বোতাফোগোর গোলরক্ষক বল ঠেকালেও সেটি ঠিকভাবে দখলে রাখতে পারেননি। বল সামনে চলে গেলে নেইমার এগিয়ে যান গোলের দিকে। এক ডিফেন্ডার পা উঁচিয়ে বল ক্লিয়ার করার আগেই নেইমার হাত দিয়ে বল জালে ঠেলে দেন।ঘটনাটি দেখেই বোতাফোগোর খেলোয়াড়েরা তীব্র আপত্তি জানান, এবং রেফারি নেইমারকে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখিয়ে লাল কার্ডে মাঠ ছাড়ার নির্দেশ দেন। এতে করে সান্তোস ১০

জনের দলে পরিণত হয় এবং পরবর্তীতে আর্থুর ভিক্টরের একমাত্র গোলে ম্যাচ জিতে নেয় বোতাফোগো।নেইমারের প্রতিক্রিয়া: রেফারির প্রথম কার্ড নিয়ে ক্ষোভম্যাচ শেষে নেইমার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি লেখেন, "দ্বিতীয় হলুদ কার্ড ঠিক আছে, হাত দিয়েই গোল করেছিলাম। কিন্তু প্রথম কার্ড? এটা ছিল পুরোপুরি তামাশা! এত বাজে রেফারিং আমি অনেক দিন দেখিনি। এটা শুধু আমার ব্যক্তিগত মতামত। অনুগ্রহ করে আমাকে আবার শাস্তি দেবেন না!"সান্তোসের হয়ে নেইমারের শেষ ম্যাচ?সান্তোসের সঙ্গে নেইমারের বর্তমান চুক্তি শেষ হচ্ছে জুন মাসেই। ক্লাবটির আর মাত্র একটি ম্যাচ বাকি, তবে লাল কার্ডের কারণে সেটিতে নিষিদ্ধ থাকছেন নেইমার। ফলে অনেকেই বলছেন, এই ম্যাচই হয়তো সান্তোসের জার্সিতে তাঁর শেষ ম্যাচ ছিল। চুক্তি নবায়ন হবে কি না, তা এখনো অনিশ্চিত।পয়েন্ট তালিকায় সান্তোসের অবনমন আতঙ্ক এ হারের ফলে সান্তোস আরও পিছিয়ে গেছে পয়েন্ট টেবিলে। ১১ ম্যাচে মাত্র ২ জয়, ২ ড্র ও ৭ হার নিয়ে দলটির সংগ্রহ মাত্র ৮ পয়েন্ট। অবস্থান করছে ২০ দলের মধ্যে ১৮তম স্থানে, অর্থাৎ অবনমন অঞ্চলে।