বহু প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জিতল প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি)। তবে সবচেয়ে চমকপ্রদ ব্যাপার হলো, এই শিরোপাজয়ের সময় দলে ছিলেন না দুই তারকা ফুটবলার কিলিয়ান এমবাপ্পে ও নেইমার। অথচ দীর্ঘ সময় ধরে এই দুজনকেই ঘিরে পিএসজির ইউরোপ জয়ের স্বপ্ন বুনা হতো।গতকাল জার্মানির মিউনিখে অনুষ্ঠিত ফাইনালে ইন্টার মিলানকে ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত করে শিরোপা নিশ্চিত করে পিএসজি। এটি ক্লাবটির ইতিহাসে প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়। কী বললেন এমবাপ্পে?চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের পর সাবেক ক্লাবকে অভিনন্দন জানাতে ভোলেননি এমবাপ্পে। নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে তিনি লেখেন, "অবশেষে সেই কাঙ্ক্ষিত দিনটা এলো। বিজয় এসেছে, আর তা পুরো ক্লাবের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল। অভিনন্দন পিএসজি!" রিয়াল মাদ্রিদে পাড়ি দেওয়ার আগে পিএসজিতে সাতটি মৌসুম কাটিয়েছেন এমবাপ্পে। এ সময়ে ৬টি লিগ আঁ, ৪টি ফ্রেঞ্চ কাপ ও ২টি লিগ কাপ জিতলেও ইউরোপিয়ান সাফল্য অধরাই ছিল তার জন্য। রিয়ালে গিয়ে প্রথম মৌসুমেই কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বাদ পড়তে হয়েছে তাঁকে। পি
এসজির সবচেয়ে দামি তারকা কী বললেন?২০১৭ সালে বিশ্ব রেকর্ড ২২ কোটি ইউরো ট্রান্সফার ফিতে বার্সেলোনা থেকে নেইমারকে দলে নেয় পিএসজি। সেই সময় তাঁকেই মনে করা হচ্ছিল পিএসজির ‘গেম চেঞ্জার’। তবে সব প্রচেষ্টা সত্ত্বেও চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা এনে দিতে ব্যর্থ হন তিনি।বর্তমানে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব সান্তোসে খেলা নেইমার পিএসজির জয়ের পর ইনস্টাগ্রামে লেখেন, "অভিনন্দন পিএসজি", সঙ্গে যুক্ত করেন পাঁচটি হাততালির ইমোজি। অতীতের তারকারা ছাড়াই ইউরোপ জয়বছরের পর বছর নেইমার ও এমবাপ্পের ওপর নির্ভর করে গড়া হয়েছিল পিএসজির চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের কৌশল। এমনকি এক পর্যায়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট পর্যন্ত এমবাপ্পেকে ক্লাবে রাখার জন্য হস্তক্ষেপ করেছিলেন। কিন্তু দুজনেই শূন্য হাতে বিদায় নিয়েছেন প্যারিস থেকে।আর এবার, তাঁদের অনুপস্থিতিতেই ইউরোপিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ ক্লাব ট্রফি ঘরে তুলেছে পিএসজি।এই শিরোপাজয় শুধু পিএসজির নয়, বরং ক্লাব ফুটবলের এক নতুন যুগের শুরু। কারণ, সবসময় বড় তারকাই যে ট্রফি জয়ের গ্যারান্টি নয়—সেটাই প্রমাণ করল প্যারিসের ক্লাবটি।
মন্তব্য (০)