ব্রেকিং নিউজ :

দৃষ্টিকোণ নিউজ একটি নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ অনলাইন সংবাদ মাধ্যম, যা সর্বশেষ সংবাদ ও বিশ্লেষণ প্রকাশ করে।

আমরা দেশের ও বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ খবর, রাজনীতি, অর্থনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর নির্ভরযোগ্য প্রতিবেদন প্রকাশ করি।

ফুটবল

ইতিহাস গড়ল ফ্ল্যামেঙ্গো, ইউরোপসেরা চেলসিকে হারিয়ে শেষ ষোলোয় ব্রাজিলিয়ান ক্লাব

ইতিহাস গড়ল ফ্ল্যামেঙ্গো, ইউরোপসেরা চেলসিকে হারিয়ে শেষ ষোলোয় ব্রাজিলিয়ান ক্লাব Image সংগৃহীত | ছবি: সংগৃহীত
ইমেইল :

ক্লাব বিশ্বকাপে ব্রাজিলিয়ান ক্লাবগুলোর উত্থান যেন থামছেই না। এবার চেলসির মতো ইউরোপীয় ফুটবল পরাশক্তিকে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছে ব্রাজিলের জনপ্রিয় ক্লাব ফ্ল্যামেঙ্গো। ম্যাচের শুরুতে পিছিয়ে পড়লেও ৩-১ গোলের দুর্দান্ত জয় তুলে নিয়েছে তারা, এবং এর সঙ্গে নিশ্চিত করেছে শেষ ষোলো।  ম্যাচের নাটকীয় মুহূর্তফিলাডেলফিয়ার লিংকন ফিনানশিয়াল ফিল্ডে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে চেলসি ১৩ মিনিটেই এগিয়ে যায় উইঙ্গার পেদ্রো নেতোর গোলে। ফ্ল্যামেঙ্গোর ডিফেন্সিভ ভুল কাজে লাগিয়ে তিনি গোলটি করেন। তবে চেলসির সেই লিড বেশিক্ষণ টেকেনি।৬২ মিনিটে ব্রুনো হেনরিকের গোল ফ্ল্যামেঙ্গোকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনে। এরপর মাত্র তিন মিনিট পর কর্নার থেকে হেড পাসে দানিলো এক দুর্দান্ত ভলিতে দলকে এগিয়ে দেন। ৬৫ মিনিটে স্কোরলাইন দাঁড়ায় ২–১।  চেলসির বিপদ আরও বাড়ে৬৮ মিনিটে চেলসির নিকোলাস জ্যাকসন লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে ১০ জনের দলে পরিণত হয় চেলসি। সংখ্যাগতভাবে পিছিয়ে পড়া দলটি এরপর আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি। বরং ৮৩ মিনিটে ওয়ালাসে ইয়ানের করা গোল ফ্ল্যামেঙ্গোর জয় নিশ্চিত করে।ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজলে ৩–১ ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ফ্ল্যামেঙ্গো, যা তাদের ক্লাব ইতিহাসের অন্যতম সেরা জয়ের একটি।  পরিসংখ্যান যা ইতিহাস বলছে

দক্ষিণ আমেরিকার কোনো দল শেষবার ইউরোপীয় দলের বিপক্ষে পিছিয়ে থেকেও জিতেছিল ১৯৯২ সালে। বার্সেলোনার বিপক্ষে সাও পাওলো সেই কীর্তি গড়েছিল। ২০০০ সালের পর এই প্রথম কোনো নন-ইউরোপিয়ান দল ইউরোপীয় ক্লাবকে দুই বা তার বেশি গোলের ব্যবধানে হারাল। তখন ভাস্কো দা গামা ৩–১ গোলে হারিয়েছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে।    কোচের প্রতিক্রিয়াম্যাচ শেষে ফ্ল্যামেঙ্গোর কোচ ফিলিপে লুইস আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, "এটা আমার ও আমাদের ক্লাবের জন্য এক স্মরণীয় দিন। আমরা জানতাম সুযোগ আছে, বিশ্বাস করেই খেলতে নেমেছিলাম। ওয়েসলির শুরুতে একটা ভুল হয়েছিল, কিন্তু দল থেমে যায়নি। আমরা আগ্রাসী থেকে ম্যাচে ফিরেছি, এবং শেষ পর্যন্ত ইতিহাস গড়েছি।"   গ্রুপের বর্তমান চিত্র ফ্ল্যামেঙ্গোর পয়েন্ট এখন ২ ম্যাচে ৬। চেলসি ও ইএস তিউনিস – উভয়েরই ৩ পয়েন্ট। শেষ ম্যাচে চেলসি মুখোমুখি হবে তিউনিসের সঙ্গে। সেই ম্যাচেই নির্ধারিত হবে কে যাবে ফ্ল্যামেঙ্গোর সঙ্গে শেষ ষোলোয়। এই জয় শুধু একটি ম্যাচ জয়ের গল্প নয়, বরং ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের আধিপত্যের নতুন চিত্র, যেখানে ইউরোপের সেরা ক্লাবগুলোও থেমে যাচ্ছে। ক্লাব বিশ্বকাপে ব্রাজিলিয়ান দলগুলোর এমন ধারাবাহিকতা ফুটবলবিশ্বে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

সম্পর্কিত ট্যাগ :

মন্তব্য (০)

মন্তব্য করুন

আপনার ইমেল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না. প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করা হয়েছে *

সম্পর্কিত খবর