কার্লো আনচেলত্তি ব্রাজিল জাতীয় দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই শুরু হয়েছে নানা আলোচনা। যদিও ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলে তাঁর সাফল্য অসাধারণ, তবে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা আনচেলত্তিকে পুরোপুরি মেনে নিতে পারছেন না।চীনে এক সংবাদ সম্মেলনে লুলা বলেন, ‘জাতীয় দলের কোচ হতে আমাদের নিজেদের মধ্যেই অনেক যোগ্য কোচ রয়েছে। আমি বিদেশিদের বিরুদ্ধে নই, কিন্তু ব্রাজিল দল পরিচালনার জন্য আমাদেরই যথেষ্ট সক্ষমতা রয়েছে।’ লুলার এই মন্তব্য ব্রাজিলিয়ান সংবাদমাধ্যমে প্রকাশের পর ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।৬০ বছর পর আবার বিদেশি কোচআনচেলত্তি গত ৬০ বছরে প্রথম বিদেশি কোচ হিসেবে ব্রাজিল দলের দায়িত্ব নিলেন। এর আগে ১৯৬৫ সালে আর্জেন্টিনার ফিলপো নুনেজ একদিনের জন্য ব্রাজিলের কোচ ছিলেন, উরুগুয়ের বিপক্ষে একটি প্রীতি ম্যাচে। তারও আগে ১৯২৫ সালে র্যামন প্লাতেরো এবং ১৯৪৪ সালে পর্তুগিজ জোরেকা স্বল্প সময়ের জন্য ব্রাজিলের কোচের ভূমিকায় ছিলেন, যদিও তাঁরা সরাসরি প্রধান কোচ ছিলেন না।কোচ হিসেবে আনচেলত্তির অভিজ্ঞতা ও সমালোচনা২৮ বছরের কোচিং ক্যারিয়ারে আনচেলত্তি জুভেন্টাস, এসি মিলান, চেলসি, প
িএসজি ও রিয়াল মাদ্রিদের মতো বড় ক্লাব পরিচালনা করেছেন। তিনি ইতিহাসের একমাত্র কোচ যিনি পাঁচবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছেন। কিন্তু এত অর্জনের পরও জাতীয় দলের কোচ হিসেবে এটি তাঁর প্রথম দায়িত্ব।২০২৩ সালেও লুলা আনচেলত্তিকে নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন। তখন আনচেলত্তি রিয়াল মাদ্রিদের কোচ ছিলেন এবং তাকে ব্রাজিল দলে আনার পরিকল্পনা চলছিল। লুলা বলেছিলেন, ‘তিনি কখনো ইতালির কোচ ছিলেন না। তাহলে তিনি কেন তাদের সমস্যা সমাধানে আগ্রহী নন?’—এই বক্তব্যে লুলার হতাশা স্পষ্ট ছিল।আশা ও বাস্তবতাযদিও সমালোচনা রয়েছে, তবুও লুলা আনচেলত্তিকে ‘গ্রেট টেকনিশিয়ান’ বলেই মানেন। তিনি আশা করছেন, আনচেলত্তি ব্রাজিলকে বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জনে এবং শিরোপা জয়ে সহায়তা করবেন।বর্তমানে দক্ষিণ আমেরিকার বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ১৪ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে ব্রাজিল। আর্জেন্টিনা ইতোমধ্যে বিশ্বকাপে খেলার টিকিট নিশ্চিত করলেও ব্রাজিলকে এখনও অপেক্ষা করতে হচ্ছে।২০২৬ বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোতে, যেখানে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চল থেকে ছয়টি দল সরাসরি এবং একটি দল প্লে–অফ খেলে অংশ নেবে।
মন্তব্য (০)