প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য তারা সরকারী গেজেট বা কাগজপত্র আনুষ্ঠানিকভাবে পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন। সিইসি’র বক্তব্যগতকাল রোববার একটি টেলিভিশন চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সিইসি বলেছিলেন, “আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে সরকারি সিদ্ধান্ত পাওয়ার পর সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেব। এ বিষয়ে সোমবার (আজ) একটি বৈঠক করা হবে, তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” তিনি আরও বলেন, “পত্রিকা বা টেলিভিশন রিপোর্টের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।” আইন উপদেষ্টার মন্তব্যঅধ্যাপক আসিফ নজরুল, আইন উপদেষ্টা, সন্ত্রাসবিরোধী আইনের সংশোধনের বিষয়ে মন্তব্য করে বলেছেন, দেশের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাই

ব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।এ ছাড়া, সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সন্ত্রাসবিরোধী আইন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সরকারি খসড়া অনুমোদনরাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। বৈঠকের সারসংক্ষেপে বলা হয়, সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিরোধে সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯ সংশোধন করে সত্তার কার্যক্রম নিষিদ্ধকরণের বিধান সংযোজন করা হয়েছে, যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও প্রযোজ্য হবে। আইন সংশোধনের প্রয়োজনীয়তাবর্তমান আইনে সত্তার কার্যক্রম নিষিদ্ধকরণের বিধান না থাকায়, এটি সময়োপযোগী করে সংশোধন করা প্রয়োজন বলে মনে করা হচ্ছে।