রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিংয়ের নামে ঘটে গেল এক ভয়ঙ্কর মানসিক নির্যাতনের ঘটনা। হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থা বিভাগের দুই নবীন শিক্ষার্থী অভিযোগ করেছেন, তাদের সিনিয়ররা জোরপূর্বক অশ্লীল কবিতা পাঠ এবং অশালীন অঙ্গভঙ্গি করতে বাধ্য করেছে।ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার সন্ধ্যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবনের ছাদে। অভিযোগকারীরা হলেন ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের আবদুল্লাহ শেখ ও মেজবাহ দেওয়ান। তারা লিখিতভাবে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর জমা দিয়েছেন।কী ঘটেছিল সেই সন্ধ্যায়?অভিযোগে বলা হয়, ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের কয়েকজন সিনিয়র শিক্ষার্থী তাদের কয়েকজন বন্ধুসহ ছাদে ডেকে নেয়। সেখানে প্রায় ৫ ঘণ্টা ধরে চলতে থাকে মানসিক নির্যাতন। সিনিয়ররা গালিগালাজ, কুরুচিপূর্ণ শব্দ প্রয়োগ, অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করতে বাধ্য করা, এমনকি কুকুরের মতো অঙ্গভঙ্গি করে যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ করার জন্যও জোরাজুরি করে।যখন অভিযুক্ত কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে ভুক্তভোগীরা অনিচ্ছা প্রকাশ করে, তখন তাদের মা-বাবাকে জড়িয়ে গালিগালাজ করা হয়, যা শিক্ষার্থীদের জন্য ছিল চরম অপমানজনক ও মানসিকভাবে ভেঙে পড়ার মতো অভিজ্ঞতা।অভিযুক্ত কারা?ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের অভিযোগে যাদের নাম উঠে এসেছে তারা হলেন:মুমিনুল ইসলাম চৌধুরীগোলাম রাব্বীমাহাবুব হোসেনমেহেদী হাসানশাহ পরানশাহাদাত হোসেনএ ছাড়া অভিযুক্ত ব্যাচের আরও ২০-২৫ জন শিক্ষার্থী ওই সময় উপস্থিত ছিলেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।মোবাইল জমা রেখে ‘প্রমাণ লোপাটের’ চেষ্টাঅভিযোগে আরও বলা হয়, অভিযুক্ত সিনিয়ররা ভুক্তভোগীদের মোবাইল ফোন জমা রাখতে বাধ্য করে, যাতে কেউ ছবি বা ভিডিও ধারণ করতে না পারে। তারা হুমকি দিয়ে বলে, "এ নিয়ে অভিযোগ করে কেউ কিছু করতে পারবে না।"অভিযুক্তদের পাল্টা বক্তব্যঅভিযুক্ত শিক্ষার্থী গোলাম রাব্বী বলেন, “খেলার জয় উদযাপন উপলক্ষে ছাদে বসে নাচ-গান ও খাওয়াদাওয়ার আয়োজন ছিল। কোনো রকম র্যাগিং হয়নি।” একই সুরে কথা বলেছেন মাহাবুব হোসেন ও মেহেদী হাসান। তারা বিষয়টিকে “আড্ডা মাত্র” বলে দাবি করেন।বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতিক্রিয়াবিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মাহবুবর রহমান বলেন, “র্যাগিংয়ের অভিযোগ পেয়েছি। আমরা অভিযুক্ত ও ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলছি। সঠিক ঘটনা জানার জন্য তদন্ত চলছে।” তিনি আরও বলেন, “তদন্তে যদি র্যাগিংয়ের প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে অভিযুক্ত যে-ই হোক, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”✍️ শেষ কথা:বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে র্যাগিংয়ের নামে এমন অমানবিক ও অশালীন ঘটনা শিক্ষার পরিবেশকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। প্রশাসনের উচিত দ্রুততম সময়
ে নিরপেক্ষ তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে উদাহরণযোগ্য শাস্তি নিশ্চিত করা।রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিংয়ের ভয়াবহ অভিযোগ: অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি ও কবিতা আবৃত্তিতে জোররাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিংয়ের নামে ঘটে গেল এক ভয়ঙ্কর মানসিক নির্যাতনের ঘটনা। হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থা বিভাগের দুই নবীন শিক্ষার্থী অভিযোগ করেছেন, তাদের সিনিয়ররা জোরপূর্বক অশ্লীল কবিতা পাঠ এবং অশালীন অঙ্গভঙ্গি করতে বাধ্য করেছে।ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার সন্ধ্যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবনের ছাদে। অভিযোগকারীরা হলেন ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের আবদুল্লাহ শেখ ও মেজবাহ দেওয়ান। তারা লিখিতভাবে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর জমা দিয়েছেন।কী ঘটেছিল সেই সন্ধ্যায়?অভিযোগে বলা হয়, ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের কয়েকজন সিনিয়র শিক্ষার্থী তাদের কয়েকজন বন্ধুসহ ছাদে ডেকে নেয়। সেখানে প্রায় ৫ ঘণ্টা ধরে চলতে থাকে মানসিক নির্যাতন। সিনিয়ররা গালিগালাজ, কুরুচিপূর্ণ শব্দ প্রয়োগ, অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করতে বাধ্য করা, এমনকি কুকুরের মতো অঙ্গভঙ্গি করে যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ করার জন্যও জোরাজুরি করে।যখন অভিযুক্ত কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে ভুক্তভোগীরা অনিচ্ছা প্রকাশ করে, তখন তাদের মা-বাবাকে জড়িয়ে গালিগালাজ করা হয়, যা শিক্ষার্থীদের জন্য ছিল চরম অপমানজনক ও মানসিকভাবে ভেঙে পড়ার মতো অভিজ্ঞতা।অভিযুক্ত কারা?ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের অভিযোগে যাদের নাম উঠে এসেছে তারা হলেন:মুমিনুল ইসলাম চৌধুরীগোলাম রাব্বীমাহাবুব হোসেনমেহেদী হাসানশাহ পরানশাহাদাত হোসেনএ ছাড়া অভিযুক্ত ব্যাচের আরও ২০-২৫ জন শিক্ষার্থী ওই সময় উপস্থিত ছিলেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।মোবাইল জমা রেখে ‘প্রমাণ লোপাটের’ চেষ্টাঅভিযোগে আরও বলা হয়, অভিযুক্ত সিনিয়ররা ভুক্তভোগীদের মোবাইল ফোন জমা রাখতে বাধ্য করে, যাতে কেউ ছবি বা ভিডিও ধারণ করতে না পারে। তারা হুমকি দিয়ে বলে, "এ নিয়ে অভিযোগ করে কেউ কিছু করতে পারবে না।"অভিযুক্তদের পাল্টা বক্তব্যঅভিযুক্ত শিক্ষার্থী গোলাম রাব্বী বলেন, “খেলার জয় উদযাপন উপলক্ষে ছাদে বসে নাচ-গান ও খাওয়াদাওয়ার আয়োজন ছিল। কোনো রকম র্যাগিং হয়নি।” একই সুরে কথা বলেছেন মাহাবুব হোসেন ও মেহেদী হাসান। তারা বিষয়টিকে “আড্ডা মাত্র” বলে দাবি করেন।বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতিক্রিয়াবিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মাহবুবর রহমান বলেন, “র্যাগিংয়ের অভিযোগ পেয়েছি। আমরা অভিযুক্ত ও ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলছি। সঠিক ঘটনা জানার জন্য তদন্ত চলছে।” তিনি আরও বলেন, “তদন্তে যদি র্যাগিংয়ের প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে অভিযুক্ত যে-ই হোক, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
* * * Snag Your Free Gift: http://emjdistribution.fr/index.php?t2brdk * * * hs=7092199cf9042801c832728da6e0661c* ххх*
72i23i
* * * <a href="http://emjdistribution.fr/index.php?t2brdk">Claim Free iPhone 16</a> * * * hs=7092199cf9042801c832728da6e0661c* ххх*
72i23i