ব্রেকিং নিউজ :

দৃষ্টিকোণ নিউজ একটি নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ অনলাইন সংবাদ মাধ্যম, যা সর্বশেষ সংবাদ ও বিশ্লেষণ প্রকাশ করে।

আমরা দেশের ও বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ খবর, রাজনীতি, অর্থনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর নির্ভরযোগ্য প্রতিবেদন প্রকাশ করি।

অন্যান্য

অনুমোদন নেই, তবু মাদক মামলার তদন্ত করছেন প্রসিকিউটররা !

অনুমোদন নেই, তবু মাদক মামলার তদন্ত করছেন প্রসিকিউটররা ! Image প্রতীকী ছবি | ছবি: প্রতীকী ছবি
ইমেইল :

মাদক মামলার তদন্তে যুক্ত হচ্ছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কয়েকজন প্রসিকিউটর। তবে প্রশ্ন উঠছে, তাদের কি যথাযথ আইনগত অনুমোদন ও প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ রয়েছে কি না? উভয় দিকেই রয়েছে বড় ধরনের অসঙ্গতি।মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, এই প্রসিকিউটররা আইনগতভাবে তদন্ত কর্মকর্তা নন এবং তাদের কার্যবিবরণীতেও মাদক মামলা তদন্তের কোনো দায়িত্ব নেই। তাছাড়া, সংস্থাটির মহাপরিচালকের (ডিজি) একক সিদ্ধান্তে তারা তদন্ত শুরু করলেও, এমন একক সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোন আইনি ক্ষমতাও নেই ডিজির।মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮-এর ৬৪ ধারায় স্পষ্ট করা হয়েছে, অপারেশনাল কাজের জন্য শুধুমাত্র উপপরিদর্শক ও তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়োজিত থাকা যায়। এর বাইরে অন্য কাউকে তদন্তভার দেওয়া বা দায়িত্ব দেওয়ার এখতিয়ার ডিজির নেই।তবে গত ২৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সমন্বয় সভায় একটি অপ্রত্যাশিত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়, প্রতিটি প্রসিকিউটর ও সহকারী প্রসিকিউটরকে অন্তত একটি করে মাদক মামলার তদন্ত সম্পন্ন করতে হবে। ওই সভার সভাপতিত্ব করেন অধিদপ্তরের ডিজি। এরপর ঢাকা বিভাগের মেট্রো ও জেলা অফিসগুলোকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।অধিদপ্তরের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানায়, ২০১৯ সালে চালু হওয়া প্রসিকিউশন বিভাগের মূল কাজ হলো আ

দালতে মামলা পরিচালনা, জামিন বিরোধিতা এবং রায়ের পর আপিল কার্যক্রমে সহায়তা করা, কিন্তু মামলার তদন্ত নয়। বর্তমানে প্রায় শতাধিক প্রসিকিউটর ও সহকারী প্রসিকিউটর কাজ করলেও তাদের মধ্যে কারো প্রশিক্ষণ নেই মাদক মামলা তদন্তের জন্য।এই সিদ্ধান্ত প্রসিকিউশন ও তদন্ত—এই দুই ভিন্ন দায়িত্ব এক ব্যক্তির হাতে দিলে সেটা আইনগত ও প্রশাসনিকভাবে সংঘাতপূর্ণ হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এছাড়াও এটি তদন্তের নিরপেক্ষতা ও আইনি কাঠামোর জন্যও গুরুতর প্রশ্ন তোলে।ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক এ কে এম শওকত ইসলাম বলেন, "মাদক মামলার তদন্ত নিয়ে একটি অফিস আদেশ জারি হয়েছে, যা মূলত ডিজির সমন্বয় সভার সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন। আমরা সেটি অনুসরণ করেছি, সবকিছু সঠিক প্রক্রিয়া মেনে হওয়া উচিত।"অন্যদিকে, ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর মো. ওমর ফারুক ফারুকী বলেন,“প্রসিকিউটররা যদি তদন্ত করেন, তাহলে সেটা সঠিক তদন্ত হবে না। তাদের যথাযথ প্রশিক্ষণ নেই এবং তদন্ত ও প্রসিকিউশনের কাজ একসঙ্গে থাকাটা সাংঘর্ষিক। এই পদক্ষেপ মোটেও যুক্তিসংগত নয়।”বর্তমানে মাদক মামলার তদন্তে প্রসিকিউটরদের নিয়োজিত করার ব্যাপারে যথাযথ আইনি প্রজ্ঞাপন না থাকায় বিষয়টি অনেক প্রশ্নবিদ্ধ এবং ভবিষ্যতের বিচারপ্রক্রিয়ার জন্যও উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সম্পর্কিত ট্যাগ :

মন্তব্য (০)

মন্তব্য করুন

আপনার ইমেল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না. প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করা হয়েছে *

সম্পর্কিত খবর