বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিষয়ক অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া এবং তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমকে পদত্যাগের সরাসরি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি উল্লেখ করেন, এটি হলে রাজনৈতিক বিতর্ক বন্ধ হয়ে যাবে এবং দেশের স্বার্থে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।আজ বুধবার সকাল ৮টা ৫২ মিনিটে ইশরাক হোসেন তার ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে এই আহ্বান জানিয়ে একটি স্ট্যাটাস প্রকাশ করেন। সেখানে তিনি বলেন,“গণতান্ত্রিক শিষ্টাচার মেনে উপদেষ্টা আসিফ ও মাহফুজকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব থেকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। কারণ এটি স্পষ্ট যে, তারা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পৃক্ত এবং হয়তো অচিরেই নির্বাচনে অংশ নেবেন। এই অবস্থায় পদত্যাগই তাদের জন্য যৌক্তিক ও সম্মানজনক পথ।”ইশরাক আরও বলেন,“নাহিদ ইসলাম যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, সেটিই অনুসরণ করুন। তিনি মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করে সরাসরি রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছেন। সার্জিস আলম, হাসনাত, আবদুল্লাহরা যখন জোরালোভাবে রাজনৈতিক পথ বেছে নিয়েছিলেন, তখনও তারা মন্ত্রিত্বের সুযোগ ফেলে রাজনীতি করেছেন। আশা করছি, একদিন তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে পূর্ণ ক্ষমতা পাবে।”তিনি উল্লেখ করেন,“উপদে
ষ্টা হিসেবে দায়িত্ব রেখে সরাসরি রাজনীতিতে যুক্ত হলে সরকার কখনোই নিরপেক্ষ থাকতে পারে না। এতে দলের লোকজনকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না। এমন অবস্থায় সরকারের নিরপেক্ষতার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়। ক্ষমতা ধরে রাখার ফলে শুধু তাদের দলীয় লোকজনই উপকৃত হয়, সাধারণ জনগণ ভোগান্তিতে পড়ে।”বিএনপির এই নেতা আরও বলেন,“ক্ষমতার লোভে অবৈধ মেয়র নির্বাচনের পেছনে দিনরাত আন্দোলন চালিয়ে নিজের নৈতিকতা প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন অনেকেই। আমি নিজেও অনেকবার সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছি। তবে ভুল পথে পরিচালিত হওয়া জনগণকে বুঝিয়ে দেওয়া আমার দায়িত্ব ছিল। এটি ছিল দেশের জন্য প্রয়োজনীয়। কিন্তু আদালত ও আইন মেনে চলা না হলে দেশ সংস্কারের পথ কখনো খোলা থাকবে না।”শেষে ইশরাক হোসেন বলেন,“বর্তমান সরকারের ‘বন্দোবস্ত’ আরও শক্তিশালী হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে উপদেষ্টাদের পদত্যাগের দাবি থেকে সরে আসার কোনো সুযোগ নেই। আমি জানতে চাই, আপনারা কেন দায়িত্বে থাকতে চান?”এই ছিল বিএনপির আন্তর্জাতিক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনের তরফ থেকে আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমের প্রতি সরাসরি পদত্যাগের আহ্বান এবং তার রাজনৈতিক যুক্তি। এই পদক্ষেপ সরকারের স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
মন্তব্য (০)