ব্রেকিং নিউজ :

দৃষ্টিকোণ নিউজ একটি নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ অনলাইন সংবাদ মাধ্যম, যা সর্বশেষ সংবাদ ও বিশ্লেষণ প্রকাশ করে।

আমরা দেশের ও বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ খবর, রাজনীতি, অর্থনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর নির্ভরযোগ্য প্রতিবেদন প্রকাশ করি।

সরকার

অবৈধ নির্বাচনকে বৈধতা দেওয়া হচ্ছে, মেয়র পদে বসা নিয়ে মন্তব্য উপদেষ্টার

অবৈধ নির্বাচনকে বৈধতা দেওয়া হচ্ছে, মেয়র পদে বসা নিয়ে মন্তব্য উপদেষ্টার Image প্রতীকী ছবি | ছবি: প্রতীকী ছবি
ইমেইল :

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থীদের আদালতের রায়ের মাধ্যমে মেয়র পদে বসা সমর্থন করেন না স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। তাঁর মতে, এর মাধ্যমে অবৈধ নির্বাচনগুলোকে বৈধতা দেওয়া হচ্ছে, যা রাজনৈতিক দলগুলোর এড়িয়ে চলা উচিত।শুক্রবার রাজধানীর হেয়ার রোডের সরকারি বাসভবনে প্রথম আলোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব মন্তব্য করেন তিনি। সাক্ষাৎকারে তিনি জাতীয় নির্বাচন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা, নিজ মন্ত্রণালয়ের কাজ, বাবার ঠিকাদারি লাইসেন্স ও সাবেক এপিএসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেন।সাক্ষাৎকারে স্থানীয় সরকারে আদালতের রায়ের মাধ্যমে মেয়র পদে বসা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে আসিফ মাহমুদ বলেন, "আমি মনে করি, ওই নির্বাচনগুলোকে বৈধতা দেওয়া হচ্ছে এবং স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত এসব অবৈধ নির্বাচন থেকে কোনো প্রাপ্তিস্বীকার না করা।"তিনি আরও বলেন, আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল না করে নির্বাচন কমিশনের

প্রজ্ঞাপন জারি করা হচ্ছে। চট্টগ্রামের ঘটনায়, যেখানে বিএনপির প্রার্থী শাহাদাত হোসেন আদালতের রায়ে মেয়র হন, সে সময় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এ মামলায় পক্ষ ছিল না বলে উল্লেখ করেন তিনি। ফলে মন্ত্রণালয়ের পক্ষে অফিশিয়ালি বিরোধিতা করা সম্ভব হয়নি।উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে মামলার রায় পেয়ে বিএনপির প্রার্থী শাহাদাত হোসেন সম্প্রতি মেয়র পদে বসেন। একইভাবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের ফল বাতিল করে বিএনপির ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করেন আদালত। বরিশাল সিটি নির্বাচন নিয়েও মামলা চলমান।এ প্রসঙ্গে আসিফ মাহমুদ বলেন, "প্রার্থী ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তাঁদের আরজিতে মেয়র ঘোষণা করার আবেদন যুক্ত করেছেন। আগের আবেদনগুলো ছিল শুধু নির্বাচনের ফল বাতিলের জন্য।"তিনি জানান, বিষয়টি এখনো নির্বাচন কমিশনের হাতে রয়েছে এবং নির্বাচন কমিশন গেজেট করবে নাকি আপিল করবে, সে সিদ্ধান্ত কমিশনের। যদি বিষয়টি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কাছে আসে, তখন তারা পরবর্তী পদক্ষেপ বিবেচনা করবেন।

সম্পর্কিত ট্যাগ :

মন্তব্য (০)

মন্তব্য করুন

আপনার ইমেল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না. প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করা হয়েছে *

সম্পর্কিত খবর