রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলমান রয়েছে দীর্ঘ চার বছরের মতো সময় ধরে, এবং প্রতিদিনের মতো এবারও নতুন সংঘাত, হামলা ও কূটনৈতিক উত্তেজনার খবর উঠে এসেছে। এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হলো যুদ্ধের ১,১৫৭তম দিনের প্রধান ঘটনাগুলো।মস্কোতে গাড়ি বোমায় রুশ জেনারেল নিহতরাশিয়ার মস্কোর উপশহর বালাশিখায় (Balashikha) গাড়ি বোমা হামলায় উচ্চপদস্থ রুশ জেনারেল নিহত হয়েছেন। রুশ তদন্তকারী সংস্থা ও ক্রেমলিন কর্তৃপক্ষ এটিকে "সন্ত্রাসী হামলা" হিসেবে অভিহিত করেছে।নিহত লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইয়ারোস্লাভ মোসকালিক (৫৯) রাশিয়ার জেনারেল স্টাফের সদস্য ছিলেন। তার গাড়ি, একটি ভক্সওয়াগন গলফ, একটি ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (IED) বিস্ফোরণের পর ধ্বংস হয়ে যায়।ক্রেমলিন এই হামলার জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করেছে, যদিও কিয়েভ এখনো কোনো মন্তব্য করেনি। উল্লেখযোগ্য যে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে রাশিয়ার বহু সামরিক কর্মকর্তা ও যুদ্ধপন্থী ব্যক্তিত্বকে টার্গেট করে হত্যা করা হয়েছে।রুশ সামরিক ব্লগারদের মতে, মোসকালিক ছিলেন "উদীয়মান নেতৃত্বের প্রতীক", যিনি বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক বৈঠকে রাশিয়ার প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন।ইউক্রেনের পাভলোহার্দে ড্রোন হামলা: নিহত
৩রাশিয়া শুক্রবার ইউক্রেনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহর পাভলোহার্দে ড্রোন হামলা চালায়, যেখানে একটি অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংয়ে আঘাত হানে ড্রোনটি। এতে একজন শিশু ও ৭৬ বছর বয়সী নারীসহ তিনজন নিহত এবং ১০ জন আহত হন।ডিনিপ্রোপেট্রোভস্ক অঞ্চলের প্রশাসনিক প্রধান সেরহি লাইস্যাক টেলিগ্রামে এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, হামলাটি রাতে ঘটেছে এবং পুরো এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।শেহেদ ড্রোনে একযোগে হামলা, ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামোইউক্রেনীয় বিমান বাহিনী জানায়, রুশ বাহিনী একযোগে ১০৩টি শেহেদ এবং ডিকয় ড্রোন ইউক্রেনের পাঁচটি অঞ্চলে ছুড়ে মারে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সুমি ও খারকিভ অঞ্চলে বেসামরিক অবকাঠামোর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।কিয়েভে ভয়াবহ হামলার পর ঘটনাস্থলে গেলেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিবৃহস্পতিবার রাশিয়ার ভয়াবহ এক হামলায় ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে অন্তত ১২ জন নিহত হন। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সেই হামলার স্থান পরিদর্শনে যান এবং নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।তিনি জানান, এই হামলাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে রুশ বাহিনী প্রায় ১৫০টি আক্রমণ চালিয়েছে ইউক্রেনীয় ফ্রন্টলাইনের প্রায় ১,০০০ কিলোমিটারজুড়ে।
মন্তব্য (০)