হামলার পেছনের ঘটনাপুলিশ সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিন আগে একাধিক হত্যা মামলার আসামি ও ‘পাটালি গ্রুপ’-এর মূলহোতা ফালানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তখন গ্রুপের সদস্যরা তাকে পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এর প্রতিশোধ হিসেবে গতকাল সন্ধ্যায় পুলিশের অভিযানের সময় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা।আহতদের অবস্থাহামলায় আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন: এসআই আফজালুর রশিদ, এসআই জসীমউদ্দীন, এসআই খোরশেদ আলম ও এএসআই সোহেল রানা। এছাড়া পুলিশের সোর্স আল-আমিন গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।হামলাকারীদের পরিচয়হামলার নেতৃত্ব দিয়েছেন ‘পাটালি গ্রুপ’-এর ল্যাংড়া হাসান, ফরহাদ ও চিকু শাকিল। তাদের সঙ্গে ছিলেন পিচ্চি হাসান, স্বপন, শাহিন, ছোট্ট হাসান, সবজি মুন্না, দিপু, সম্রাট, রফিক, রাকিব ও রাসেলসহ প্রায় ৩০-৪০ জন।তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ
কমিশনার (ডিসি) ইবনে মিজান জানান, পুলিশ কিশোর গ্যাং ও মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, “পুলিশ অভিযানে গেলে কিশোর গ্যাং ও মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা করে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন।” তিনি আরও জানান, রাতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ওই এলাকা থেকে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।এলাকাবাসীর উদ্বেগস্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রায়েরবাজার এলাকায় মাদকের রমরমা ব্যবসা মূলত কিশোর গ্যাং গ্রুপগুলো টিকিয়ে রেখেছে। কেউ মাদক বন্ধ করতে এলে কিংবা মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে গেলেই তাদের ওপর গ্রুপের সদস্যরা হামলা চালায়। এছাড়া, এসব মাদক ব্যবসায়ী ও কিশোর গ্যাংগুলোর পেছনে রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়া রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তারা। এই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে এবং অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মন্তব্য (০)