ব্রেকিং নিউজ :

দৃষ্টিকোণ নিউজ একটি নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ অনলাইন সংবাদ মাধ্যম, যা সর্বশেষ সংবাদ ও বিশ্লেষণ প্রকাশ করে।

আমরা দেশের ও বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ খবর, রাজনীতি, অর্থনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর নির্ভরযোগ্য প্রতিবেদন প্রকাশ করি।

অন্যান্য -

বান্দরবানে সেনাবাহিনীর অভিযানে কেএনএ কমান্ডারসহ নিহত ২, উদ্ধার অস্ত্র-গোলাবারুদ

বান্দরবানে সেনাবাহিনীর অভিযানে কেএনএ কমান্ডারসহ নিহত ২, উদ্ধার অস্ত্র-গোলাবারুদ Image সংগৃহীত | ছবি: সংগৃহীত
ইমেইল :
১৯

বান্দরবানের রুমা উপজেলার গভীর পাহাড়ি এলাকায় সেনাবাহিনীর পরিচালিত একটি বিশেষ অভিযানে কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ)-র এক কমান্ডারসহ দুই জন সশস্ত্র সদস্য নিহত হয়েছেন। অভিযানে তিনটি সাবমেশিনগান (এসএমজি), একটি রাইফেল এবং বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।আজ বৃহস্পতিবার সকালে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়, "অভিযান এখনো চলমান রয়েছে এবং পরিস্থিতি সেনাবাহিনীর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে।"কী ঘটেছে রুমার দুর্গম এলাকায়?সেনাবাহিনী গোপন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বান্দরবানের রুমা উপজেলার একটি দূর্গম পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালায়। কেএনএ’র অস্ত্রধারী একটি গ্রুপ পাহাড়ি ঘাঁটিতে জড়ো হয়েছিল বলে তথ্য পাওয়ার পর সেনাবাহিনী ওই এলাকায় অভিযান শুরু করে। এতে ভয়াবহ বন্দুকযুদ্ধের পর কেএনএ’র এক শীর্ষস্থানীয় কমান্ডারসহ দুই জন নিহত হন।উদ্ধার হয়েছে বিপজ্জনক অস্ত্রঅভিযান চলাকালীন সেনাবাহিনী তিনটি এসএমজি, একটি রাইফেল এবং আরও কিছু গোলাবারুদ ও সামরিক সরঞ্জাম উদ্ধার করে। এই অস্ত্রগুলো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাতে ব্যবহৃত হতো বলে ধারণা করা হচ্ছে।আইএসপিআর’র বক্তব্যআইএসপিআর

বলছে, “অভিযানটি দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা রক্ষায় সেনাবাহিনীর দৃঢ় প্রতিশ্রুতি ও সাহসিকতার প্রতিফলন।” তারা আরও জানায়, “আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।”কেএনএ কে?কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ) পার্বত্য অঞ্চলের একটি সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠন, যাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, অস্ত্র পাচার, এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতার অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি এই সংগঠনটি সেনাবাহিনীর নজরদারির তালিকায় ছিল।জনগণের নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বার্তাএই অভিযান পাহাড়ি অঞ্চলের সাধারণ মানুষের মনে স্বস্তি ফিরিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে বান্দরবান ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সশস্ত্র গোষ্ঠীর উপস্থিতি ও তৎপরতায় স্থানীয়রা চরম আতঙ্কে ছিলেন। সেনাবাহিনীর এই উদ্যোগে তাদের মধ্যে নিরাপত্তাবোধ আবার জাগ্রত হয়েছে। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সেনাবাহিনী যেভাবে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে, তা প্রশংসার দাবি রাখে। পার্বত্য অঞ্চলে অবৈধ অস্ত্রধারী গোষ্ঠী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দমন করতে এই অভিযানকে গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভবিষ্যতেও এমন কঠোর পদক্ষেপ অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।

সম্পর্কিত ট্যাগ :

মন্তব্য (০)

মন্তব্য করুন

আপনার ইমেল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না. প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করা হয়েছে *

সম্পর্কিত খবর