১২ মাস পেরিয়ে গেছে সেই দিনটির—৩৬ জুলাই, যেদিন বাংলাদেশের ইতিহাসে এক নতুন বাঁক আসার সম্ভাবনা জেগেছিল। অনেকেই বলেছিলেন, “এটা ১৯৭২-এর পুনরাবৃত্তি”—বিপ্লব, আশা আর কাঠামো বদলের ডাক। কিন্তু এক বছরের মাথায় ফিরে তাকালে প্রশ্ন জাগে, স্বপ্নগুলো কোথায় গেল? বদলের সেই প্রতিশ্রুতি এখন কোথায় দাঁড়িয়ে?আকাঙ্ক্ষার সূচনা, বাস্তবতার সংঘর্ষগত বছরের প্রতিটি দিন আশা, প্রতীক্ষা আর আকাঙ্ক্ষায় কেটেছে। মানুষ চেয়েছিল, “নতুন সরকার অফিস-আদালত বদলে দেবে, প্রশাসন সুশাসনের পথে হাঁটবে”। কিন্তু কোনো মৌলিক পরিবর্তনের ছোঁয়া পাওয়া গেল না। বরং অনেকেই মনে করছেন, আরও প্রতিক্রিয়াশীল এক ভবিষ্যৎ ধেয়ে আসছে।মুরাদনগরের ভয়াল স্মৃতি এখনো ঘুমাতে দেয় না, বাতাসে ভাসে প্রতিশোধের গন্ধ।মাঠে ফসল নয়, জমেছে আগাছাগণ–অভ্যুত্থানের সামনের সারির নেতারা এখন মিডিয়ায় প্রোফাইল প্রমোশন আর সাক্ষাৎকারে ব্যস্ত, মাঠে বাস্তবতা আলাদা—"ফসল নেই, আছে অচেনা আগাছা"।যে ‘লাল জুলাই’-এর লক্ষ্য ছিল কাঠামোগত বৈষম্য দূর করা, সেখানে প্রশাসনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কোনো বৈপ্লবিক রূপান্তর সম্ভব হয়নি। বলশেভিকরাও পারেননি—আমরাই বা পারতাম কীভাবে?‘৩৬ জুলাই’-তে এক নতুন অধ্যায়ের দরজা খোলা সম্ভব ছিল, কিন্তু পরদিন থেকেই দৃশ্যপট পাল্টে গেল। আন্দোলনের কেন্দ্র ছিটকে গেল রমনা আর মতিঝিলের অফিস-ভবন ঘিরে।অপ্রাপ্তির দীর্ঘ তালিকাগত এক বছরে কতটা অগ্রগতি হয়েছে? ৮,৭৬০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে, কিন্তু: কৃষকদের জন্য কোনো পৃথক কমিশন হয়নি। শ্র
মিক কমিশনের ৪৪৫ পাতার চমৎকার প্রতিবেদন জমা পড়েও পড়ে আছে ধুলায়। দলিত, পাহাড়ি, সংখ্যালঘু নারীদের জন্য কোনো বাস্তব পদক্ষেপ নেই। ধর্মনিরপেক্ষতা সংবিধান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে কৃষক বা শ্রমিকদের দাবি নিয়ে তেমন কোনো আলোচনা হয়নি। "জাতীয় ন্যূনতম মজুরি", "মূল্যস্ফীতি অনুযায়ী বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট", এসব মৌলিক অর্থনৈতিক প্রশ্নেও কোনো উদ্যোগ নেই।গণ–অভ্যুত্থানের নারীদের আজও শুনতে হয় গালি১৬ মে নারীদের অধিকার চেয়ে করা ‘মৈত্রী সমাবেশে’ তাঁদের ‘বেশ্যা’ বলা হলো। এই লজ্জাজনক ঘটনাটির বিরুদ্ধে সরকার কিংবা সেই আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা কারও পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট অবস্থান নেওয়া হয়নি। উল্টো, শিক্ষার্থী নেতৃত্বের অংশই উপস্থিত ছিলেন নারী কমিশনবিরোধী সমাবেশে।উমামা, তাসনূভা, জারা—এই সংগ্রামী নারীরাও আজ অনলাইনে লাঞ্ছনার শিকার। মামলা ও মব-সহিংসতা এখন নতুন রাজনৈতিক অর্থনীতির রূপ পেয়েছে।নতুন দল এনসিপি: প্রতিশ্রুতির ছায়ায় প্রশ্নের ভারঅনেকেই চেয়েছিলেন নতুন রাজনৈতিক মেধার উত্থান, তাই এনসিপি নিয়ে ছিল আশার ঢেউ। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল: এখনো পর্যন্ত নেই স্পষ্ট রাজনৈতিক ঘোষণাপত্র। দলের ভেতরেই রাষ্ট্রনীতি নিয়ে বিভাজন স্পষ্ট। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে সমাবেশে উঠে আসে গোলাম আযম-মিশ্রিত স্লোগান, যা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এই বিপরীতমুখী বার্তা গণ–অভ্যুত্থানের
মন্তব্য (০)