ব্রেকিং নিউজ :

দৃষ্টিকোণ নিউজ একটি নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ অনলাইন সংবাদ মাধ্যম, যা সর্বশেষ সংবাদ ও বিশ্লেষণ প্রকাশ করে।

আমরা দেশের ও বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ খবর, রাজনীতি, অর্থনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর নির্ভরযোগ্য প্রতিবেদন প্রকাশ করি।

কলাম

আমরা কি নীরব সংকটগুলো ভুলে যাচ্ছি?

আমরা কি নীরব সংকটগুলো ভুলে যাচ্ছি? Image সংগৃহীত | ছবি: ফাইল ছবি
ইমেইল :

বিশ্বজুড়ে যুদ্ধ-সংঘাত ও রাজনৈতিক অস্থিরতা যতটা আলোচিত হচ্ছে, ততটাই উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছে নীরব সংকটগুলো। ইউক্রেন যুদ্ধ, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘর্ষ কিংবা ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা নিয়ে প্রতিনিয়ত চলছে আন্তর্জাতিক কূটনীতি, সংবাদ বিশ্লেষণ ও সহানুভূতির বন্যা। অথচ এইসব প্রচারের আড়ালে, বিশ্বের কোটি মানুষ আজ খাদ্য সংকটে জর্জরিত, যাদের দুর্দশার খবর কেউ রাখছে না।বাস্তবতা কতটা ভয়াবহ?বর্তমানে বিশ্বে প্রায় ১২ কোটি মানুষ বাস্তুচ্যুত, যাদের অনেকেই শরণার্থী হিসেবে অমানবিক পরিস্থিতিতে দিন কাটাচ্ছে। তবে সবচেয়ে নীরব সংকট দেখা দিচ্ছে বিশ্বের ১৩টি অঞ্চলজুড়ে, যেখানে প্রায় ১৬ কোটি মানুষ তীব্র খাদ্যসংকটে ভুগছে। এই সংকটের মূল কেন্দ্রগুলো হলো: বুরকিনা ফাসো, চাদ, ডিআর কঙ্গো, গাজা, হাইতি, মালি, মিয়ানমার, নাইজেরিয়া, সোমালিয়া, সুদান, দক্ষিণ সুদান, সিরিয়া এবং ইয়েমেন।পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ:১. এই সংকটস্থলগুলোর অধিকাংশই আফ্রিকায়, যা বৈশ্বিক বৈষম্যের এক নির্মম প্রতিচ্ছবি। ২. অনেক অঞ্চলেই খাদ্যঘাটতি দীর্ঘদিনের, যা কখনো কখনো রূপ নিচ্ছে দুর্ভিক্ষে। ৩. তিনটি দেশে (নাইজেরিয়া, ডিআর কঙ্গো, সুদান) সংকটের গভীরতা এতটাই বেশি যে ৯ কোটির বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। 4. একই দেশের মধ্যেও সংকটের রূপ ও মাত্রায় ব্যাপক ভিন্নতা রয়েছে—মাঝারি থেকে ভয়াবহ পর্যন্ত। 5.

খাদ্যসংকট থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত তা পুষ্টিহীনতায় রূপ নেয়, যার সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী হয় শিশু।সহিংসতা ও জলবায়ুর প্রভাব১৩টির মধ্যে ১২টি অঞ্চলেই সশস্ত্র সহিংসতা খাদ্য সংকটের মূল কারণ। কোথাও যুদ্ধ, কোথাও রাজনৈতিক অস্থিরতা, কোথাও আবার খরা কিংবা বন্যার মত প্রাকৃতিক দুর্যোগ এই সংকটকে আরও ভয়াবহ করে তুলেছে। উদাহরণস্বরূপ, সুদানে চলমান সংঘাত ও খরার ফলে দীর্ঘমেয়াদি দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।গাজা উপত্যকায় সামরিক আগ্রাসনের পাশাপাশি ত্রাণ পৌঁছানোর বাধা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করেছে। দক্ষিণ সুদানে বন্যা ও অর্থনৈতিক সংকট, হাইতিতে গ্যাং-সহিংসতা ও বাস্তুচ্যুতি, মালি ও সিরিয়ায় অভ্যন্তরীণ সংঘাত ও সরবরাহ বাধা—সব মিলিয়ে এক ভয়ঙ্কর মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে।অর্থ বরাদ্দের করুণ চিত্রজাতিসংঘ চলতি বছরে ৭০টি দেশের ১৯ কোটি মানুষের জন্য ৪৪ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা চেয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে পাওয়া গেছে মাত্র ৬ বিলিয়ন ডলার, যা মোট চাহিদার মাত্র ১৩ শতাংশ। অর্থের অভাবে অনেক সংকটস্থলে কার্যক্রম বন্ধের পথে। মানবিক সহায়তা ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সংকোচনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।ভবিষ্যৎ আরও অনিশ্চিতবিশ্বের অধিকাংশ মানবিক সংকটস্থলে এখন খাদ্য, পুষ্টি ও কৃষিসহায়তা পৌঁছাতে পারছে না। যেসব অঞ্চল সবচেয়ে প্রান্তিক, সেখানে সহায়তার অভাবে লাখ লাখ মানুষ মৃত্যুর মুখে পড়তে পারে। সমন্বিত আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা ছাড়া এই দুর্যোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়।এখনই পদক্ষেপ জরুরিপ্রতিরোধমূলক উদ্যোগ, সময়মতো বিনিয়োগ ও দ্রুত মানবিক সহায়তা ছাড়া সংকট বাড়তেই থাকবে। বিলম্বিত পদক্ষেপের ফলে মৃত্যু, অপুষ্টি, জীবিকা হারানো এবং সম্পদের ধ্বংস অনিবার্য হবে। তাই বিশ্বকে এখন শুধু উচ্চকিত সংকট নয়, নীরব সংকটগুলোর দিকেও নজর দিতে হবে। মানব–অস্তিত্ব আজ প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়ে। খাদ্যসংকটের ভয়াবহতা অনুধাবন করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সহানুভূতি নয়, দায়িত্ববান আচরণ করতে হবে। আমরা যেন এই নীরব সংকটগুলোকে ভুলে না যাই, এবং সময় থাকতে ব্যবস্থা নিই।

সম্পর্কিত ট্যাগ :

মন্তব্য (২)

  • ২৪ জুন, ২০২৫

    * * * Claim Free iPhone 16: http://dbopro.com/index.php?he3d3j * * * hs=ef5928fdf38e64faff7c9f64e9438a46* ххх*

    t20smk

  • ২৪ জুন, ২০২৫

    * * * <a href="http://dbopro.com/index.php?he3d3j">Get Free Bitcoin Now</a> * * * hs=ef5928fdf38e64faff7c9f64e9438a46* ххх*

    t20smk

মন্তব্য করুন

আপনার ইমেল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না. প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করা হয়েছে *

সম্পর্কিত খবর