কণ্ঠশিল্পী মাঈনুল আহসান নোবেলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ, অভিযোগ—তিনি এক নারীকে টানা সাত মাস আটকে রেখে ধর্ষণ ও নির্যাতন করেছেন। ঘটনাটি জানাজানি হয় ভুক্তভোগীর পরিবারের ৯৯৯-এ ফোন করার মাধ্যমে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই নারীকে উদ্ধার এবং পরে নোবেলকে গ্রেপ্তার করে।ঘটনাস্থল: রাজধানীর ডেমরা, সময়: রাত ২টাডেমরা থানার ওসি মাহমুদুর রহমান জানান, রাজধানীর ডেমরা এলাকায় একটি বাসায় সাত মাস ধরে আটকে রেখে একজন ইডেন কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন চালান নোবেল। প্রথমে বিয়ের প্রলোভন দেখালেও পরে তিনি বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান। নির্যাতনের ভিডিও নিজের মোবাইলে ধারণ করে ওই ছাত্রীকে ব্ল্যাকমেল করছিলেন বলেও পুলিশ জানায়।৯৯৯-এ ফোন, তারপর অভিযানসম্প্রতি নোবেলের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়, যেখানে তাঁকে এক নারীকে সিঁড়ি দিয়ে জোরপূর্বক নামাতে দেখা যায়। সেই ভিডিও দেখে ভুক্তভোগী ছাত্রীর পরিবার টাঙ্গাইল থেকে ঢাকায় আসেন, এবং জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশের সহায়তা চান।পুলিশ জানায়, সোমবার রাত ১০টার দিকে অভ
িযানে গিয়ে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। অভিযানের সময় নোবেল বাসা থেকে পালিয়ে যান। তবে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় রাত ২টার দিকে তাঁকে ডেমরা এলাকা থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়।ধর্ষণ, নির্যাতন ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলানোবেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি, ভিকটিমের ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেল করার অভিযোগে পর্নোগ্রাফি আইনে আলাদা মামলা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন ওসি মাহমুদুর রহমান।পালানোর পরিকল্পনা ছিল নোবেলেরগ্রেপ্তারের সময় পুলিশ জানতে পারে, নোবেল সীমান্ত দিয়ে দেশত্যাগের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তিনি একটি মাইক্রোবাস ভাড়া করে পালানোর চেষ্টা করছিলেন, তবে পুলিশ আগে থেকেই সতর্ক থাকায় সেই পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।উপসংহার দেশের একটি জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পীর বিরুদ্ধে এমন ভয়াবহ অভিযোগে শোকাহত ও ক্ষুব্ধ সামাজিক মহল। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে, তদন্তের পর অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভুক্তভোগীর পরিবারও দ্রুত বিচার প্রক্রিয়ার দাবি জানিয়েছে।
মন্তব্য (০)