দীর্ঘ ১৭ বছর পর বাংলাদেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমান। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামীকাল মঙ্গলবার সকালেই তিনি ঢাকায় পৌঁছাবেন। তার সঙ্গে থাকবেন শাশুড়ি ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।জানা গেছে, ঢাকায় এসে জোবাইদা রহমান রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবস্থিত তার বাবার বাসভবন ‘মাহবুব ভবনে’ অবস্থান করবেন। ইতোমধ্যে সেখানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কাজ সম্পন্ন হওয়ার পাশাপাশি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বসানো হয়েছে নতুন সিসিটিভি ক্যামেরা এবং অন্যান্য পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা।বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমন জানিয়েছেন, জোবাইদা রহমানের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। বাড়ির চারপাশে নিরবিচারে নজরদারি চালানো হচ্ছে। দায়িত্বে থাকছেন সিএসএফ (সিকিউরিটি সার্ভিস ফোর্স) সদস্যরা, পাশাপাশি মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশের একটি দলও।তারেক রহমান নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গিয়ে স্পষ্টভাবে নির্দেশ দিয়েছেন, “নিরাপত্তার নামে সাধারণ মানুষকে যেন বিরক্ত না করা হয়।” এলাকাবাসীর স্বাভাবিক চলাচল ও জীবনে বিঘ্ন না ঘটিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।জোবাইদার চলাচলের জন্য স্বতন্ত্র যানবাহন ব্যবস্থাও করা হয়েছে। এই গাড়িগুলো তার যাতায়াতের সময় নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে।এর আগে, গত ৩০ মে, ব

িএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তার পুলিশের মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) কাছে এক চিঠিতে জোবাইদার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। চিঠিতে গানম্যান, পুলিশ প্রটেকশন, আর্চওয়ে এবং বাসায় স্থায়ী পুলিশ পাহারার দাবি জানানো হয়।এই চিঠির পরপরই পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার কয়েকজন কর্মকর্তা মাহবুব ভবনে গিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যালোচনা করেন। তারা বাসার আশপাশের পরিবেশ, প্রবেশপথ ও নজরদারি ক্যামেরার কার্যকারিতা পর্যবেক্ষণ করেন।বর্তমানে ওই ভবনে বসবাস করছেন জোবাইদা রহমানের মা সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু, বড় বোন শাহীনা জামান এবং তার পরিবারের সদস্যরা। জানা গেছে, ইকবাল মান্দ বানু বর্তমানে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর, তারেক রহমানের সঙ্গে ঢাকা ত্যাগ করেছিলেন জোবাইদা রহমান। এর কিছুদিন পর, ২৬ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তাদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে। সেই মামলায় জোবাইদা রহমানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড ও ৩৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করে ঢাকার একটি আদালত। তবে গত বছর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর, জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে দেওয়া সাজা স্থগিত করা হয়। এই পরিস্থিতিতে তার দেশে ফেরা নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।