ব্রেকিং নিউজ :

দৃষ্টিকোণ নিউজ একটি নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ অনলাইন সংবাদ মাধ্যম, যা সর্বশেষ সংবাদ ও বিশ্লেষণ প্রকাশ করে।

আমরা দেশের ও বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ খবর, রাজনীতি, অর্থনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর নির্ভরযোগ্য প্রতিবেদন প্রকাশ করি।

বিএনপি

কিছু কর্মকাণ্ডে সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে: বিএনপি

কিছু কর্মকাণ্ডে সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে: বিএনপি Image সংগৃহীত | ছবি: সংগৃহীত
ইমেইল :

বিএনপি দাবি করেছে, বর্তমান সরকারের কিছু সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডে জনমনে সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। তাদের মতে, ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য দুর্বল হয়ে পড়ছে, যা একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের পথে প্রধান অন্তরায় হতে পারে।শনিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে তিন পৃষ্ঠার একটি লিখিত বিবৃতি তুলে ধরে বিএনপি। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আবদুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং সালাহউদ্দিন আহমদ।বিএনপির লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গত সাড়ে ৯ মাসে গণ-আকাঙ্ক্ষা ও জনপ্রত্যাশা পূরণের যে স্বপ্ন মানুষ দেখেছিল, তা আজ বিশাল প্রশ্নের মুখে। তারা দাবি করে, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের রক্তাক্ত ছাত্র গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশের ফ্যাসিবাদী শাসনের পতন ঘটলেও, এখনও কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তনের ছোঁয়া সাধারণ মানুষের মধ্যে এসে পৌঁছায়নি।নিরপেক্ষতার প্রশ্নে সরকারের ভূমিকা নিয়ে উদ্বেগবিএনপির মতে, একটি নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে জনগণ যে প্রত্যাশা করে, সাম্প্রতিক কিছু সিদ্ধান্ত ও কর্মকাণ্ড তা থেকে বিচ্যুত। তারা স্পষ্ট করে বলেছে, কোনো রাজনৈতিক মহলের স্বার্থ রক্ষায় সরকার যেন ব্যবহৃত না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত ছিল।মানবিক করিডর ও চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে উদ্বেগলিখিত বক্তব্যে উঠে এসেছে মানবিক করিডর ও চট্টগ্রাম বন্দর ইস্যু। এতে প্রশ্ন তোলা হয়, জাতীয় স্বার্থ কতটা সুরক্ষিত হচ্ছে সরকারের কর্মকাণ্ডে? বিএনপির মতে, এ ধরনের দীর্ঘমেয়াদি ও নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত একটি অস্থায়ী সরকারের এখতিয়ার নয়।বিতর্কিত উপদেষ্টাদের অপসারণের আহ্বানবিএনপি দ

াবি করেছে, সরকারের নিরপেক্ষতা রক্ষার জন্য বিতর্কিত উপদেষ্টাদের অপসারণ প্রয়োজন, যাদের কর্মকাণ্ডে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। নতুন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত উপদেষ্টাদের অব্যাহতির আহ্বান জানিয়ে তারা বলেছে, তাদের উপস্থিতি সরকারের নিরপেক্ষ অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।নির্বাচন কমিশন ঘেরাও ও ইশরাক ইস্যুনির্বাচন কমিশন কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচিকে বিএনপি ‘বিব্রতকর’ বলে আখ্যা দিয়েছে। তারা বলেছে, সংস্কার প্রক্রিয়া চলমান থাকা অবস্থায় এমন পদক্ষেপ আলোচনার পরিবেশ নষ্ট করতে পারে। এছাড়া, ঢাকা দক্ষিণ সিটির নির্বাচিত মেয়র ইশরাক হোসেনের শপথ গ্রহণে বিলম্বকে অযৌক্তিক বলেও মন্তব্য করেছে বিএনপি।জরুরি রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিবিএনপি জোর দিয়ে বলেছে, জনগণের সর্বোচ্চ আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য অবিলম্বে একটি নির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে, যার মাধ্যমে ডিসেম্বরের মধ্যে একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তারা মনে করে, এটাই এখন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান দায়িত্ব হওয়া উচিত।সংস্কার ও বিচার প্রক্রিয়া একসঙ্গে চলুকবিএনপি মনে করে, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তি ও ফ্যাসিবাদী শক্তির বিচার এই প্রক্রিয়ার অংশ হওয়া উচিত। তারা বলে, সংস্কার ও নির্বাচন—দুটোই একসঙ্গে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব।সহযোগিতার পথ বন্ধ হয়ে যাবে সবশেষে বিএনপি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, তাদের প্রস্তাব ও পরামর্শ উপেক্ষিত হলে সরকারের প্রতি সহযোগিতার মনোভাব বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়বে। তারা আশা করে, সরকার জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে আইন-শৃঙ্খলা, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, বিনিয়োগ পরিবেশ এবং স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে উদ্যোগ নেবে।

সম্পর্কিত ট্যাগ :

মন্তব্য (০)

মন্তব্য করুন

আপনার ইমেল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না. প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করা হয়েছে *

সম্পর্কিত খবর