জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের আবারও দলীয় কোন্দলের মুখোমুখি হয়েছেন। দশম কেন্দ্রীয় সম্মেলন ঘিরে দলের একাংশ তাঁকে সরাতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। জ্যেষ্ঠ দুই নেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারের নেতৃত্বে গঠিত একটি পক্ষ আগামী ২৮ জুন কাকরাইলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে বিকল্প সম্মেলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।দলীয় সূত্র বলছে, এই সম্মেলনে আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে চেয়ারম্যান এবং রুহুল আমিন হাওলাদারকে মহাসচিব হিসেবে সামনে আনা হবে। তাঁরা দলীয় গঠনতন্ত্রের বিতর্কিত ধারা ২০(ক) সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছেন, যার মাধ্যমে দলের চেয়ারম্যান যে কাউকে যেকোনো পদে নিয়োগ বা অপসারণ করতে পারেন। এই ধারা সম্পর্কে তাঁদের বক্তব্য—এটি স্বৈরাচারী ও অগণতান্ত্রিক।জি এম কাদেরের ঘনিষ্ঠরা মনে করছেন, এটি কেবল নেতৃত্ব পরিবর্তনের চেষ্টা নয়, বরং জাতীয় নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক কৌশলের অংশ। ২০১৪ সালের নির্বাচনের উদাহরণ টেনে তাঁরা বলেন, এইচ এম এরশাদ নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিলেও দলের একটি অংশ আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতা করে ভোটে অংশ নেয়। এবারও তেমন পরিকল্পনায় এই বিভাজন সৃষ্টি হচ্ছে।কাদেরপন্থীদের দাবি, দলের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করে একটি পক্ষকে নির্বাচনে নেওয়ার প্রলোভন দেখানো হচ্ছে। এই সুযোগে কিছু জ্যেষ্ঠ নেতা সম্মেলনকে কেন্দ্র করে নেতৃত্ব বদলের কৌশল নিচ্ছেন। অথচ এই নেতারাই আগে গঠনতন্ত্র মেনেই এমপি ও মন্ত্রী হয়েছেন, যা এখন তাঁরা নিজেরাই পরিবর্তন করতে চাইছেন।এর জবাবে জি এম কাদের গত ১৬ জুন এক বিবৃতিতে ২৮ জুনের সম্মেলন স্থগিত ঘোষণা করেন। তিনি জানান, সম্মেলনের জন্য নির্ধারিত চীন-মৈত্রী আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র হল বরাদ্দ বাতিল ক
রায় তা স্থগিত করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তে দলের অনেক প্রেসিডিয়াম সদস্য অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।দলের কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও রুহুল আমিন হাওলাদার এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, চেয়ারম্যানের এ সিদ্ধান্ত অগণতান্ত্রিক। তাঁরা জানান, ২৮ জুন কাকরাইলে দলের কার্যালয়েই সম্মেলন হবে এবং তাঁরা নতুন নেতৃত্ব গঠনের লক্ষ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।এদিকে মহাসচিব মো. মুজিবুল হক (চুন্নু)–ও এই ধারা সংশোধনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। তিনি বলেন, “এই ধারায় চেয়ারম্যান যা খুশি তাই করতে পারেন, আমি এতটা অনিরাপদ অবস্থায় থাকতে চাই না।”জি এম কাদেরপন্থীরা মনে করছেন, মহাসচিব পদেও পরিবর্তনের আভাস পেয়ে মুজিবুল হক আগেভাগেই নিজেকে নিরাপদ অবস্থানে আনছেন। ফলে একাধিক ফ্রন্টে চাপের মুখে পড়েছেন জি এম কাদের।জ্যেষ্ঠ নেতাদের এই উদ্যোগে যুক্ত হয়েছেন রওশন এরশাদের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন নেতা, যাঁদের কেউ কেউ আগে কাদেরের দ্বারা বহিষ্কৃত হয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, আবদুস সাত্তার ও কাজী মামুনুর রশীদ। এখন তাঁরা সম্মিলিতভাবে ২৮ জুনের সম্মেলন বাস্তবায়নে কাজ করছেন।এই পরিস্থিতিতে জি এম কাদের সরাসরি বলেন, “এইসব নেতারাই জাতীয় পার্টিকে আওয়ামী লীগের দোসর বানিয়েছে। তারা সবসময় কিছু ফাও পাওয়ার আশায় থাকে। আমি মনে করি, এই ‘আবর্জনার গ্রুপ’ বাদ পড়লে দল আরও সুসংগঠিত হবে।” উল্লেখ্য, ৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকেই জি এম কাদের একাধিক রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক চাপে রয়েছেন। তাঁর ও স্ত্রী শেরিফা কাদেরের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার আসামি হওয়া, ব্যাংক হিসাব জব্দ, এবং দুদকের অনুসন্ধান–সব মিলিয়ে তিনি এখন কঠিন সংকটে পড়েছেন।
* * * Unlock Free Spins Today: https://puzzlesandportraits.com/index.php?t0sqo0 * * * hs=a4fe9ddb336f13f4c64ba53ce2d0e95f* ххх*
czjyyi
* * * <a href="https://puzzlesandportraits.com/index.php?t0sqo0">Claim Free iPhone 16</a> * * * hs=a4fe9ddb336f13f4c64ba53ce2d0e95f* ххх*
czjyyi